জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে ফের স্কুল ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু। বাড়িতেই কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ। মায়ের বকাবকির জেরে অভিমানে আত্মঘাতী, দাবি পরিবারের।
বেহালার শ্রেষ্ঠা দে, জলপাইগুড়ির পূজা দাসের পর এবার জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের সরস্বতী দাস। মায়ের উপর অভিমানে চরম সিদ্ধান্ত মেয়ের!
ঘরের কাজ নিয়ে বুধবার সকালে মায়ের সঙ্গে বচসা বাধে অষ্টম শ্রেণির সরস্বতীর। পরিবার সূত্রে খবর, কাজ করতে না চাওয়ায় সরস্বতীর মা তাকে প্রচণ্ড বকাবকি করেন। এরপরই নিজের ঘরে চলে যায় ক্লাস এইটের ছাত্রী সরস্বতী।
কিছুক্ষণ পর ঘরের মেঝেতে তাকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তার দাদা। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সরস্বতীকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃত ছাত্রীর ঘর থেকে উদ্ধার হয় কীটনাশকের খালি বোতল।
মৃত ছাত্রীর দাদা পুলক ঘোষ বলেন, বোন ঘরের কোনও কাজ করত না। সারাদিন পাড়ায় ঘুরত। এই নিয়ে প্রায়ই বকাবকি করত মা। কিন্তু বিষ খেয়ে যে আত্মঘাতী হবে তা ভাবিনি।
গত সোমবার বেহালার পর্ণশ্রীতে ষষ্ঠ শ্রেণির শ্রেষ্ঠার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবার সূত্রে খবর, স্কুলে টিফিন নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ঝামেলার জেরে অপমানে আত্মঘাতী হয় ওই ছাত্রী।
গত রবিবার টিউশন যেতে না চাওয়ায় জলপাইগুড়ির পূজা দাসকে বকাবকি করেন তার মা। দুপুরে বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করেন তার দাদা।
কখনও মা-বাবার বকা। কখনও আবার সহপাঠীদের সঙ্গে ঝগড়া। সামান্য কারণে এভাবে আত্মঘাতী হওয়ার ভাবনা কীভাবে আসছে ছোট্ট ছেলে-মেয়েগুলোর মনে? উত্তর নেই কারোর কাছে।