রানা দাস, কালনা: সাধারণ মানুষের বদলে ভ্যাকসিন পাচ্ছেন বিধায়ক-ঘনিষ্ঠরা। তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ জানিয়ে মহকুমা শাসকের কাছে চিঠি দিলেন তৃণমূলের ছয় বিদায়ী কাউন্সিলর। পাল্টা কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে কাজ করার অভিযোগ করলেন বিধায়ক। কালনায় প্রকাশ্যে তৃণমূলের অন্তর্কলহ। বিধায়কের পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র।
দিনভর বসে থাকেন পুরসভায়, হস্তক্ষেপ করেন টেন্ডার প্রক্রিয়া-সহ সমস্ত কাজে। আগে করোনার ভ্যাকসিন পাইয়ে দেন ঘনিষ্ঠদের। দলীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে এমনই সব অভিযোগ তুলে মহকুমা শাসককে চিঠি দিলেন পূর্ব বর্ধমানের কালনা পুরসভার ছয় বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সলর। এই ঘটনায় প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে তৃণমূলের কোন্দল।
কালনা পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলর সুকন্যা পণ্ডিতের অভিযোগ, ‘পুরসভার কোনও পদে না থাকলেও, বিধায়ক দিনভর এখানে এসে বসে থাকেন। ভ্যাকসিনের কুপন কেটে লোকে লাইনে দাঁড়ায়। কিন্তু বিধায়ক ঘনিষ্ঠরা সহজেই ভ্যাকসিন পেয়ে যায়।’
যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা অভিযোগ করেছেন কালনার তৃণমূল বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ। তাঁর দাবি, ‘ভ্যাকসিন নিয়ে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা মিথ্যে। কালনা হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। আমি প্রভাব খাটাই না। পুর প্রশাসকই কাজ করেন। যারা আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছে, তারা বিধানসভা ভোটের আগে থেকে বিজেপি করত।’
কালনা পুরসভার অপর এক বিদায়ী কাউন্সিলর সমরজিৎ হালদার পাল্টা বলেছেন, ‘কালনাবাসী জানেন আমরা কোন দলটা করি। বিধায়ক কী বললেন, তাতে কিছু এসে যায় না। আমরা বিজেপি হলে উনি আমাদের অনুষ্ঠানে এলেন কী করে?’
তবে এই পরিস্থিতিতে বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগকেই সমর্থন করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র দেবু টুডু। তিনি বলেছেন, ‘বিধায়ক ভুল করলে দলকে জানাতে পারতেন। যাঁরা অভিযোগ করছেন, তাঁরা দলের কেউ নন।’
অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে ঘিরে কালনায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে দলের অন্দরের অসন্তোষ। দলের রাজ্য নেতৃত্ব বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা অন্তর্কলহ মিটিয়ে ফেলতে তৎপর। দলের আশা, দ্রুত যাবতীয় অসন্তোষ মিটে যাবে।