দার্জিলিং ও কলকাতা: একদিকে সরকারি দফতরে অনির্দিষ্টকালের বনধের ডাক দিয়ে সরাসরি রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতের রাস্তায় মোর্চা। অন্যদিকে, পাহাড় পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়ে রাজনাথ সিংহের দ্বারস্থ তাদের জোটসঙ্গী বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ফের তৃণমূল সরকারকে তীব্র আক্রমণ করল তারা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, ‘সব কিছুর জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রিসভার বৈঠক ওখানে দরকার ছিল না। গরমে মাথা গরম হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি খারাপ করেছেন, সামলাতে না পেরে পালিয়ে এসেছেন।’


তৃণমূল অবশ্য দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে চায়নি। পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধেই উসকানি দেওয়ার অভিযোগ এনেছে রাজ্যের শাসক দল। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেছেন, ‘দিলীপ ঘোষদের পাহাড়ে জনভিত্তি নেই। মোর্চার সমর্থন নিয়ে দু বার এমপি জিতেছে। বিজেপির উসকানি গুরুংদের। মুখ্যমন্ত্রী কোথায় যাবেন, তা নিয়ে বলার সাংবিধানিক অধিকার এদের নেই।’

পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সরকারি অফিসে বন‍ধের ডাক দিয়েছে মোর্চা। শনিবার যখন রোশন গিরিরা এই ঘোষণা করছেন, সেদিনই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ। সূত্রের দাবি, রাজনাথ সিংহকে সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া বলেন, পাহাড়ের পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। পাহাড়বাসীর সমস্যা সমাধানের জন্য রাজ্য সরকার এবং মোর্চাকে আলোচনার টেবলে আসতে হবে। অবিলম্বে এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করুক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

দার্জিলিং ইস্যুতে জোটসঙ্গী মোর্চার পাশেও দাঁড়িয়েছে বিজেপি। বুধবারই কলকাতায় দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বৈঠক করেন মোর্চার প্রতিনিধিরা। আর এরপর দিনই, গুরুংয়ের দলের জঙ্গি-আন্দোলনে অশান্ত হয়ে ওঠে পাহাড়। বৃহস্পতিবারের ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেন মোর্চার সমর্থনে পাহাড় থেকে জিতে আসা বিজেপি সাংসদ। তাৎপর্যপূর্ণভাবে রবিবার বিমল গুরুংয়ের গলাতেও এই সুরই শোনা গিয়েছে! মোর্চা এখন যে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে সামনে রেখে সুর চড়াচ্ছে, আগেই তার পক্ষে সওয়াল করেছেন বিজেপি সাংসদ অহলুওয়ালিয়া।