সুমন ঘড়াই, কলকাতা: পেগেসাস ইস্যুতে সরগরম সংসদের বাদল অধিবেশন। আর এই আবহে আগামীকাল সোমবার দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে দিল্লি যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক। দুপুর ১টায় রাজ্য মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে সব মন্ত্রীকে ফোন করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পাস হতে পারে কোনও গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব। সাধারণত ১৫ দিন পরপর হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। গত বৃহস্পতিবারই শেষ বৈঠক হয় রাজ্য মন্ত্রিসভার। 


১৯ জুলাই শুরু হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। প্রায় দু’বছর পর ৫ দিনের সফরে আগামীকালই দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তাঁর একাধিক রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্মসূচি রয়েছে। দিল্লি সফরে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনও নিশ্চয়তা নেই। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই  জানিয়েছিলেন যে দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলে, আর্থিক সাহায্য, পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন সরবরাহ-সহ রাজ্যের দাবি-দাওয়াগুলি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।


মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভোটের পর দিল্লি যেতে পারিনি। এখন কোভিড পরিস্থিতি ঠিক আছে। পার্লামেন্টের সময় যাই। গেলে নেতাদের সঙ্গে কথা বলব। প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৭ বারের সাংসদ। ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও।  দিল্লি গেলেই সংসদ ভবনে যান তিনি। দেখা করেন পুরনো স্বতীর্থদের সঙ্গে। তবে, তৃতীয় বারের জন্য বঙ্গ বিধানসভা ভোটে বিপুল সাফল্যের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবারের দিল্লি সফর নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।


দিল্লিতে বিজেপি বিরোধী দলের শীর্ষ নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একান্ত বৈঠক হতে পারে। সেখানে, বিরোধী জোটকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস থাকবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। এই জল্পনা বেড়েছে কারণ, সম্প্রতি দু’বার NCP প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূলের বঙ্গজয়ের অন্যতম কাণ্ডারী এবং ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর।


দিনকয়েক আগেই, দিল্লিতে রাহুল গাঁধীর বাড়িতে বৈঠক হয় প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে। রাহুল-প্রিয়ঙ্কার পাশাপাশি ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন সনিয়া গাঁধীও। সম্প্রতি, দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানাবর্তী সিঙ্ঘুতে অবস্থানরত কৃষকদের নেতা রাকেশ টিকায়েত নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিঙ্ঘুতে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ করেন। দিল্লি সফরে গিয়ে সিঙ্ঘুতেও যেতে পারেন তিনি।