আশাবুল হোসেন, কলকাতা: তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  পাঁচদিনের সফরে খতিয়ে দেখবেন পাহাড়ের পরিস্থিতি। মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর ঘিরে পাহাড়জুড়ে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা।


আজ বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে আজ শিলিগুড়িতে কমিশনার মাঠে বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। বেশ কয়েকটি পুজো কমিটিকে শারদ সম্মান দেবেন তিনি। 


কাল উত্তরকন্যায় জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গল ও বুধবার থাকবেন কার্শিয়ঙে।


সেখানে কালিম্পং ও দার্জিলিং জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৃহস্পতিবার ২৮ অক্টোবর প্রশাসনিক সফর সেরে বাগডোগরায় ফিরবেন তিনি। এরপর সেখান থেকেই গোয়ায় উড়ে যাবেন তিনি। 


আরও পড়ুন: বিজেপির বিরুদ্ধে জোট বাঁধার আহ্বান, গোয়া সফরের আগে ট্যুইট মমতার


প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত পাহাড়। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামায় শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং ও সিকিমের সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ। এর মধ্যেই রবিবারই মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর।


সূত্রের খবর, ধস বিধ্বস্ত এলাকায় যেতে পারেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফর ঘিরে আশাবাদী পাহাড়বাসী। 


ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার প্রেসিডেন্ট অনীত থাপা বলেন, মমতা আসলেই পাহাড়ে কিছু না কিছু দেন। তিনি আসলেই লোক অনেক আশা করে। জিটিএ ইলেকশন হবে কিনা, সরকার জানে। পাহাড়ে জিটিএ ইলেকশন জরুরি।


গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, যখনই আসেন, তখনই পাহাড়কে কিছু দেন। ওঁর সঙ্গে কথা বলতে চাই আমরা জিটিএ না, পাহাড়ের পার্মানেন্ট সলিউশন চাই।


আরও পড়ুন: লক্ষ্য এবার গোয়া, পরের সপ্তাহেই চারদিনের সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


যদিও, মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় সফরকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। কার্শিয়ঙের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা বলেন, সরকারি ট্যুর নয়। পলিটিকাল ট্যুর। আমাকে তো কেউ কিছুই বলেনি। জিটিএ ইলেকশন তো করলেও ভালো। না করলেও ভালো। কিন্তু পঞ্চায়েত ইলেকশন হওয়া জরুরি।