কোচবিহার:  সুকমায় নিহত ২৫ জওয়ানের তিন জন এরাজ্যের। নিহত জওয়ানের মধ্যে  দুজন কোচবিহারের, একজন নদিয়ার।ব্যর্থ হবে না বলিদান, শেষশ্রদ্ধা জানিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। বাংলার তিন নিহত জওয়ানদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আজ কোচবিহারের কোতয়ালি থানা এলাকার বিবেকানন্দ স্ট্রিটে নিহত এক সিআরপিএফ জওয়ান কৃষ্ণকুমার দাসের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে ছত্তীসগঢ়ের সুকমায় মাওবাদী হামলায় নিহত তিন বাঙালি জওয়ানের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য ও পরিবারের একজনকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মাও হানায় নিহত সিআরপি জওয়ানের কোচবিহারের বাড়িতে মমতা। পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার আশ্বাস

নিহত সিআরপিএফ জওয়ান কৃষ্ণকুমার দাসের মাত্র দুমাস আগে বিয়ে হয়েছিল এবছরের ফেব্রুয়ারিতে। বাবা নেই। রয়েছেন মা এবং ছোটভাই। গতকাল টিভিতে খবর দেখে ছোটভাই দাদার ঘটনার কথা জানতে পারেন।

২০১১ সালে সিআরপিএফ-এ যোগ দেন কৃষ্ণ। পঞ্জাবে প্রথম পোস্টিং। পরে তাঁকে পাঠানো হয় মাওবাদী-অধ্যুষিত ছত্তীসগঢ়ের সুকমায়। গতকাল মাওবাদী হামলায় সেখানেই মৃত্যু হয় ২৮ বছরের যুবকের।

মাওবাদী হামলায় নিহত বিনয়চন্দ্র বর্মনের বাড়িও কোচবিহারের কোতয়ালি থানা এলাকার দেওয়ানহাটের আঠারোতলা গ্রামে। খেতমজুর বাবার ছেলে বিএ পাস করে ২০১১ সালে যোগ দেন সিআরপিএফ-এ। চারবছর আগে বিয়ে। বাড়িতে রয়েছে দেড়বছরের ছেলে। গতকাল টিভির খবরে হামলার কথা জানতে পারেন বিনয়ের স্ত্রী। গ্রামের ছেলের এহেন পরিণতিতে শোকস্তব্ধ প্রতিবেশীরা।