কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: অসুস্থ কবীর সুমনকে দেখতে এসএসকেএমে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন গায়ক কবীর সুমন। তিনি ভর্তি আছেন এসএসকেএম-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে। অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাঁকে। তাঁর গলায় প্রবল ব্যাথা, কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে।


৭১ বছর বয়স বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী কবীর সুমনের। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। র‍্যাপিড অ্যান্টিজ টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।


গলায় ব্যাথা গানওয়ালার! সঙ্গে শ্বাসকষ্ট। প্রবল অসুস্থতা নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হলেন কবীর সুমন। সোমবার ভোরে তাঁকে যখন আনা হয় হাসপাতালে, তখন অক্সিজেনের মাত্রা ছিল ৯০। জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্টও ছিল। পাশাপাশি, এই সঙ্গীতশিল্পীর সুগার ও প্রেশারের সমস্যাও আছে। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডের ১০৩ নম্বর কেবিনে অক্সিজেন সাপোর্টে রেখে শুরু হয় চিকিৎসা। র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এদিন বিকেলে অক্সিজেনের মাত্রা বেড়ে হয় ৯৮। কবীর সুমন আগের থেকে অনেকটাই ভাল আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।


এদিন বিকেলে যাদবপুরের প্রাক্তন সাংসদকে দেখতে এসএসকেএমে যান মুখ্যমন্ত্রী। কথা হয় দু’জনের। এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে খবর, কবীর সুমনকে আরও কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।


বামফ্রন্টের আমলে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন কবীর সুমন। জমি অধিগ্রহণ বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তিনি। পরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে যাদবপুর লোকসভা আসন থেকে জিতেছিলেন তিনি। তাঁকে দলের ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে নিয়মিত দেখা যেত। কিন্তু কিছুদিন পর তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় তাঁর। যদিও পরে সেই দূরত্বের অবসান ঘটে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মুখর হয়ে উঠেছিলেন তিনি। গত ২৩ জানুয়ারী ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানের বিরোধিতা করে গড়িয়াহাটে ধর্নাও দেন কবীর সুমন। এরপর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ান এই সঙ্গীতশিল্পী।