কলকাতা: রাজভবনে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাত্ নতুন কিছু বিষয় নয়। কিন্তু বর্তমানে রাজ্য-রাজনীতিতে নবান্ন ও রাজভবন সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে এই সাক্ষাত্ তাত্পর্য্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।  কয়েকদিন আগেই সমাবর্তন সংক্রান্ত জটিলতায় কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্ষকে কারণ দর্শাতে বলেছিলেন রাজ্যপাল।

এর আগে বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালের ভাষণ ঘিরে তীব্র টানাপোড়েন তৈরি হয়েছিল। কেননা, রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের লিখিত ভাষণে নিজের টিপ্পনি করার কথা বলেছিলেন। এই ঘটনায় রাজ্য-রাজভবন চাপানউতোর আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা দানা বেঁধেছিল। এই আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতেই সম্ভবত বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণের সময় টেলিভিশন ক্যামেরা প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। কিন্তু রাজ্যপাল অবশ্য তাঁর ভাষণে বেসুরো হননি। রাজ্য সরকারের লিখে দেওয়া ভাষণই হুবহু পড়েন তিনি। এরপর অধ্যক্ষর কক্ষে গিয়ে বসেছিলেন। সেখানে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপালকে ফুলের স্তবক দিয়ে বিদায়ও জানান মুখ্যমন্ত্রী। সৌহার্দ্য ও সৌজন্যের আবহেই এই পর্ব মিটেছিল।

এরপর অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তব্য টেলিভিশনে সম্প্রচার নিয়ে ক্ষোভ ব্যক্ত করেছিলেন রাজ্যপাল।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘ একঘন্টা রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজভবন ছাড়েন মুখ্যমন্ত্রী।