প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: কয়লাকাণ্ডে নয়া মোড়। এবার লালা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অমিত আগরওয়ালের বিরুদ্ধে কয়লা পাচারের টাকায় মাওবাদীদের অর্থ সাহায্যের অভিযোগ উঠল। ভোটের মুখে ওঠা এই অভিযোগই খতিয়ে দেখছে সিবিআই। গত মঙ্গলবারই ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা।
শুরু হয়ে গেছে বিধানসভা নির্বাচনের কাউন্টডাউন। ভোটের আগে রাজনৈতিক হেভিওয়েটদের সভাতেও অন্যতম বিষয় হিসাবে উঠে আসছে কয়লা প্রসঙ্গ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগেই বলেছেন, তৃণমূল সরকার অনুপ্রবেশ রুখতে পারেনি, বাংলায় কয়লা পাচার হচ্ছে অবাধে, কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তৃণমূল ৷
এর আগে, গত সপ্তাহে, রুলিয়াতে দাঁড়িয়েই কয়লা পাচার নিয়ে সরব হন নরেন্দ্র মোদি। বলেন, দিল্লিতে থেকেও জঙ্গলমহলের সমস্যার কথা শুনতে পাই। গরিবের টাকা লুঠ করে তৃণমূল সরকার। কয়লা ও বালি মাফিয়াদের সাহায্য নিচ্ছে তৃণমূল সরকার।
পাল্টা একের পর এক কয়লাখনি বিক্রির অভিযোগ তুলে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছেন তৃণমূলনেত্রীও। ভোটের এই গরম হাওয়ার মধ্যেই এবার অনুপ মাঝি ওরফে লালা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অমিত আগরওয়ালের বিরুদ্ধে মাওবাদীদের অর্থ সাহায্যের অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবারই লালা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অমিত আগরওয়াল ওরফে সোনুর দুর্গাপুরের বিধাননগরের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। পাশাপাশি কাঁকসার বামুনাড়ায় ওই ব্যবসায়ীর ইস্পাত কারখানা ও কুলটির বরাকরের বাড়িতে অভিযান চলে।
সিবিআই সূত্রে খবর,ভোটের আগে এরাজ্যে মাওবাদীদের হাতে কয়লা পাচারের টাকা পৌঁছেছে কিনা তা জানতে মরিয়া কেন্দ্রীয় তদন্তসংস্থার আধিকারিকরা। এর আগে, ২০১৮ সালের অক্টোবরে লালা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অমিত আগরওয়ালের দুর্গাপুরের কাঁকসার বাড়িতে তল্লাশি চালায় এনআইএ।
সূত্রের দাবি, তল্লাশির আগে এনআইএ-এর কাছে খবর ছিল, অমিতের হাত ধরে কয়লা পাচারের টাকা পৌঁছে যেত ঝাড়খণ্ডের মাওবাদীদের হাতে। এনআইএ-এর সেই তল্লাশির সূত্র ধরেই নড়েচড়ে বসেছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। কয়লা পাচারের কোনও টাকা, এরাজ্যের মাওবাদীদের কাছে পৌঁছেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতেই জোরদার তদন্তে নেমেছে তারা। সবমিলিয়ে ভোটের মুখে কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্ত ঘিরে ক্রমশই বাড়ছে উত্তাপ।