গোপাল চট্টোপাধ্যায়, শান্তিনিকেতন: বিশ্বভারতীতে ফের ছাত্র বিক্ষোভ। পিএইচডি ও এমফিলের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে ও  ছাত্রদের সাসপেনশনের প্রতিবাদে বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণারত ছাত্রদের সংগঠন।


এক লাফে কয়েক গুণ ফি বৃদ্ধি! কোনওভাবেই কাটছে না জট। আর এই ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে ফের বিক্ষোভ দেখালেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও গবেষকরা। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, পিএইচডি ও এমফিলের ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাঁদের আরও দাবি, অকারণে কয়েকজন ছাত্রকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।  উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিশ্বভারতীর পিএইচডি ও এমফিলের টাকা বৃদ্ধির প্রতিবাদে  বিক্ষোভে নেমেছিলেন ছাত্র ছাত্রীরা ৷ বুধবার উপাচার্যর অফিসের সামনে বিক্ষোভের জেরে উত্তেজনা ছড়ায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। পোস্টার নিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে তুমুল বচসা বাঁধে গবেষক ও পড়ুয়াদের। আজ ফের সেই একই দাবিতেই বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখালন গবেষণারত ছাত্র ছাত্রীরা। 


নতুন ফি বৃদ্ধির ঘোষণা হতেই দফায় দফায় বিক্ষোভ বিশ্বভারতীতে। ছাত্রছাত্রীদের দাবি বিশ্বভারতী পিএইচডি ও এমফিলের টাকা হঠাৎ বাড়িয়ে যথাক্রমে ১৪০০ টাকা ও ১১০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে ৷ তাঁদের দাবি, এই মহামারী পরিস্থিতিতে প্রত্যেকের আর্থিক পরিস্থিতি অত্যন্ত। তাই ফি মকুব করা হোক। একইসঙ্গে অধ্যাপক ও ছাত্রদের অন্যায় ভাবে সাসপেন্ড করার অভিযোগ তুলেও প্রতিবাদ জানান তাঁরা। এর আগে গত বুধবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রাধা বসাক জানিয়েছেন, 'পরীক্ষা ও মার্কশিটের ফি ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪০০ টাকা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।' 


অন্যদিকে, সম্প্রতি একটি চুরির ঘটনার পর শিক্ষাভবনে প্রবেশাধিকারে নানা বিধিনিষেধ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবারও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের দাবি, এইভাবে কাজের সমস্যা হচ্ছে। শিক্ষাভবন আবারও খুলে দেওয়া হোক, এই দাবি জানিয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা।  গবেষণারত ছাত্রছাত্রীরা আজ, শনিবার সেন্ট্রাল অফিসের সামনে বুকে ব্যানার ঝুলিয়ে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ করেন।  আন্দোলনকারীদের সাফ কথা, কর্তৃপক্ষ তাঁদের দাবি না মানলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।