শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: একুশে জুলাইয়ে শহিদ স্মরণ ঘিরে কোচবিহারে প্রকাশ্যে চলে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল।  এক ঘণ্টার ব্যবধানে একই অফিসে দু’বার উঠল তৃণমূলের পতাকা। 


প্রথমে অনুগামীদের নিয়ে জেলা কার্যালয়ের বাইরে দলীয় পতাকা উত্তোলন করলেন কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। এক ঘণ্টার মধ্যে কার্যালয় থেকে খুলে ফেলা হল জেলা সভাপতির তোলা পতাকা। অনুগামীদের নিয়ে নতুন করে পতাকা তুললেন প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। 


রবীন্দ্রনাথ ঘোষের অনুগামীদের দাবি, বুধবার সকাল দশটায় জেলা অফিসে সবাইকে নিয়ে পতাকা উত্তোলনের কথা ছিল। কিন্তু কাউকে না জানিয়ে আগেভাগেই, জেলা সভাপতি পতাকা তুলে দেন।


কোচবিহার তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক খোকন মিঞা বলেন, পার্থপ্রতিম রায়ের অফিস থেকে ফোন করে আমাকে জানানো হয় ১০টায় পতাকা উত্তোলন হবে, সেইমতো রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে কথা বলি সবাই মিলে করব, কিন্তু আচমকা পার্থপ্রতিম রায় পতাকা উত্তোলন করে চলে গেলেন, দলকে নালিশ জানাব,কীসের ভয়ে এটা করলেন উনি।


একই অফিসে দু’বার পতাকা উত্তোলনে বিতর্কের কিছু নেই বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের। তিনি বলেন, কোনও বিতর্ক হয়নি, জেলা কার্যালয়ে সভাপতি পতাকা তুলেছে, পরবর্তীতে রাজ্য সহ সভাপতি আয়োজন করেছে, আমার বহু কর্মসূচি তাই ওই কর্মসূচিতে থাকতে পারিনি, দশটায় কোনও কর্মসূচি ছিল না, সমন্বয়ে সমস্যা হয়েছে, সকলে মিলে  ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। 


শহিদ স্মরণ ঘিরে তৃণমূলের কোন্দল সামনে চলে আসায় কটাক্ষ ছুড়ে দিতে ছাড়েনি বিজেপি। নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে প্রায় ২ দশক, কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। লোকসভা ভোটের পর, তাঁকে সরিয়ে পার্থপ্রতিম রায়কে জেলা সভাপতি করার পর থেকে দুই নেতার মতবিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে।


বিধানসভা ভোটে জেলার ৯টি আসনের মধ্যে মাত্র দু’টি পেয়েছে তৃণমূল। কোচবিহারে খারাপ ফলের পরেও, কোন্দল থামছে না শাসক দলে।