ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: রাজ্যে ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ। পজিটিভিটি রেট ও মৃত্যুও সামান্য বেড়েছে রাজ্যে। এই আবহে করোনা আক্রান্তদের আইসোলেশনের ক্ষেত্রে সংশোধিত নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর। যারা হোম আইসোলেশনে রয়েছেন তাঁদের জন্যও নয়া নির্দেশ রয়েছে। এছাড়াও কীভাবে হোম আইসোলেশনে থাকবে হবে, কী কী নজরদারি করা উচিত তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।


এক নজরে দেখে নেওয়া যাক নয়া নির্দেশিকায় কী বলা হয়েছে- 



  • ‘করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ হলেই থাকতে হবে আইসোলেশনে’

  • ‘উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গ থাকলেও থাকতে হবে আইসোলেশনে’

  • ‘কোমর্বিডিটি থাকলে আক্রান্তদের উপর বিশেষ নজর রাখতে হবে’

  • ‘৭ দিনের বেশি টানা জ্বর থাকলে রোগীকে ভর্তি করতে হবে হাসপাতালে’

  • রক্তচাপ ১০০-র কম থাকলে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ

  • ‘রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪%-র নীচে থাকলে ভর্তি করতে হবে হাসপাতালে’

  • বুকে ব্যথা, মুখ-ঠোঁট নীল হয়ে গেলে ওয়ার্ডে বা আইসিইউ-তে ভর্তির পরামর্শ


সম্প্রতি আইসিএমআর (ICMR)-এর গাইডলাইনে জানান হয়েছিল করোনার (Corona) উপসর্গ থাকলে করতেই হবে পরীক্ষা। করোনা টেস্টের (Covid19 Test) নতুন নির্দেশিকা জারি করেছিল আইসিএমআর। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, অতিরিক্ত কোমর্বিডিটি (Co-Morbidity) থাকলে সংস্পর্শে এলেই করতে হবে টেস্ট। অতিরিক্ত কোমর্বিডিটি না থাকলে উপসর্গহীনদের টেস্টের প্রয়োজন নেই। কোভিড রোগীদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের আইসোলেশনে থাকতে হবে।


আরও পড়ুন, গঙ্গাসাগরের পর এবার রাজ্যে অন্য মেলাতেও ‘ছাড়’, নতুন নির্দেশিকা জারি রাজ্য সরকারের


করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতি নিয়ে ক্রমশই চিন্তা বৃদ্ধি করছে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)।  বাংলার করোনা পরিস্থিতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক (Ministry Of Health) জানিয়েছে, ‘পজিটিভিটি রেটে দেশের মধ্যে শীর্ষে বাংলা’। শুক্রবার প্রকাশিত নির্দেশিকা অনুযায়ী, করোনার রিপোর্ট পজিটিভ এলে, সাত দিন অন্তত বাড়িতে নিভৃতবাস কাটাতেই হবে। ওই সময়ে পর পর তিন দিন যদি জ্বর না থাকে, সে ক্ষেত্রে সাত দিন পরই নিভৃতবাস শেষ করে বেরিয়ে আসতে পারবেন রোগী। সে ক্ষেত্রে ফের করোনা পরীক্ষার করানোর কোনও প্রয়োজন নেই। মৃদু বা মাঝারি উপসর্গ থাকা রোগী বাড়িতে নিভৃতবাস কাটাতে পারবেন। ষাটোর্ধ্ব রোগী এবং যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে, একমাত্র চিকিৎসক সায় দিলে তবেই বাড়িতে নিভৃতবাস কাটাতে পারবেন তাঁরা।