ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: রাজ্যে উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্রগুলি থাকা কয়েকটি জেলায় এখনও উদ্বেগজনক করোনা সংক্রমণের বৃদ্ধির হার! সূত্রের খবর, এমনটাই উঠে এসেছে করোনা সংক্রমণ নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের তৃতীয় সমীক্ষায়।  পুজোর মরসুমে ফের বাড়বে না তো সংক্রমণ। থার্ড ওয়েভ আছড়ে পড়ার আশঙ্কার মাঝেই সতর্ক করলেন চিকিত্‍সকরা।


মাস পেরোলেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উত্‍সব, দুর্গাপুজো। আর পুজোর আগেই, করোনার থার্ড ওয়েভ আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এই প্রেক্ষাপটে করোনা সংক্রমণের হার ও গতিবিধি নিয়ে করা রাজ্য সরকারের সমীক্ষায়, একইসঙ্গে উঠে এল আশা ও উদ্বেগের কথা।


রাজ্যের ২০টি জেলায় চালানো এই সমীক্ষায় একদিকে দেখা গেছে, সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ১.৬ শতাংশ থেকে কমে ১.২ শতাংশে নেমেছে। অপরদিকে ৪টি জেলায় সংক্রমণ বৃদ্ধির হার সম্পর্কে সামনে এসেছে উদ্বেগজনক তথ্য। মাইক্রোবায়োলজিস্ট অর্পিত সাহা বলেন, কেন এই সার্ভে দরকার? যাদের উপসর্গ নেই, তাদের চিহ্নিত করার জন্য। কেন্দ্রীয় সরকারের করা সেরো পজিটিভের সঙ্গে এই ফলাফলের মিল পাওয়া যাচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা কমার দিকে। 


আরও পড়ুন, বাংলায় ফের বাড়ল করোনা সংক্রমণ, কলকাতায় আক্রান্ত ১০৫


স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে বক্তব্য, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ৩ শতাংশের বেশি হলে, তা উদ্বেগজনক এবং সেই জেলার পরিস্থিতির ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ১৬ থেকে ১৮ অগাস্ট পর্যন্ত, রাজ্যের ২০টি জেলায় যে সমীক্ষা চালানো হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, দার্জিলিংয়ে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ৭.৭ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৩.২ শতাংশ। পূর্ব মেদিনীপুরে যেখানে দ্বিতীয় সমীক্ষায় সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ৫.৯ শতাংশ ছিল, তা তৃতীয় সমীক্ষায় কমে হয়েছে ৩.৮ শতাংশ। জলপাইগুড়িতে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৩.৬ শতাংশ। এছাড়াও তৃতীয় সমীক্ষায় ৩.১ শতাংশ সংক্রমণ বৃদ্ধির হার দেখা গিয়েছে বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলাতে।


আরও পড়ুন, 'পরিস্থিতি বুঝে ১৮ অক্টোবর কার্নিভাল নিয়ে সিদ্ধান্ত', পুজো নিয়ে আর কী জানালেন মুখ্যমন্ত্রী?


যে তিন জেলায় সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ৩ শতাংশের বেশি, সেখানেই রাজ্যের উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্রগুলি রয়েছে। সেখানে আগের থেকে সংক্রমণের হার কমলেও, সামনেই পুজো। ফলে আশঙ্কা, ভিড় বাড়লে পরিস্থিতি ফের হাতের বাইরে চলে যাবে না তো? মাইক্রোবায়োলজিস্ট দেবকিশোর গুপ্ত বলেন, যে তিন চারটি জেলায় উদ্বেগ আছে, সেগুলিতে পর্যটকদের যাতায়াত করছে। সেখানে আরও কড়াকড়ি করতে হবে। ভ্যাকসিনেশন, টেস্টের ওপর জোর দিতে হবে। 


রাজ্য সরকারের এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে ১.৩৪ শতাংশই হলেন এমন ব্যক্তি, যাঁরা এখনও ভ্যাকসিন নেননি!অন্যদিকে, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর আক্রান্তের সংখ্যা এক শতাংশেরও কম।