কলকাতা : রবিবারের পর সোমবারও। টানা দ্বিতীয়দিন রাজ্যে করোনা সংক্রামিতের সংখ্যা প্রায় দু'হাজার। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে সোমবার নতুন করে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণে পড়েছেন ১৯৫১ জন। যার ফলে এই মুহূর্তে রাজ্যে অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৪৪৬ জন। গতকাল, ৪ এপ্রিল রাজ্যে মোট ১৯৫৭ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সোমবারের সংক্রমণ ধরলে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গেল ৫ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫৭৬ জনে।
সোমবারই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকাশিত রিপোর্টে এই প্রথমবার দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে ১ লক্ষ। গতকালের তুলনায় এক লাফে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ১০ হাজার। এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৩ হাজার ৫৫৮ জন। দেশে এই প্রথম এক লক্ষ পেরোল সংক্রমিতের সংখ্যা। এর আগে ২০২০-র ১৬ সেপ্টেম্বর ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯৭ হাজার ৮৯৪। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪৭৮ জনের। যা গতকালের তুলনায় কম। একইসঙ্গে দৈনিক সুস্থতার সংখ্যাও কমেছে।
করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে সংক্রামিতের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে তাতে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যেই, স্বাস্থ্য দফতরের তরফে সব সরকারি হাসপাতালকে সতর্ক করা হয়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলিতে কোভিড চিকিৎসা পরিকাঠামো আরও মজবুত করা হচ্ছে। কোভিড বেডের সংখ্যা বাড়ানো এবং অক্সিজেন সরবরাহ ঠিক রাখতে বলা হয়েছে।
রাজ্যে একদিকে যেমন বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সেই সঙ্গে ভিড় বাড়ছে হাসপাতালগুলিতে। সরকারি ও বেসরকারি, সব হাসপাতালেই এক অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনেশন ও সচেতনতা বৃদ্ধির উপর জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে করোনা বেডের সংখ্যা ৪৪১। সেখানে ভর্তি রয়েছেন ২২৩ জন রোগী।কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ৩০০টি বেডের মধ্যে, ১৬২টিতে রোগী ভর্তি রয়েছেন।বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ১৬৫টি বেডের মধ্যে রোগী ভর্তি রয়েছেন ৭৬টিতে।
একই পরিস্থিতি বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও। ৩ এপ্রিলের হিসেব অনুযায়ী, ঢাকুরিয়া আমরিতে ৪৬টি কোভিড বেডের একটিও খালি নেই। বেলভিউ হাসপাতালে করোনার বেড রয়েছে ৩৩টি। মেডিকা হাসপাতালে ৬১টি। পিয়ারলেস হাসপাতালে ৪০টি। যার একটিও খালি নেই। উডল্যান্ডস হাসপাতালের ৫২টি কোভিড বেডের মধ্যে মাত্র ৭টি খালি রয়েছে। আর, অ্যাপেলো হাসপাতালের ৫৬টি বেডের মধ্যে খালি রয়েছে ১৮টি।