কলকাতা: ভিন রাজ্য থেকে গঙ্গা দিয়ে মালদায় ভেসে আসতে পারে মৃতদেহ। যদি কোনওভাবে তা বঙ্গের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গঙ্গার মধ্যে ঢোকে, সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রস্তুত রাজ্য প্রশাসন। সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে? এব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়েছেন এবিপি আনন্দর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে। 


উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে অসংখ্য মরদেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল কয়েকদিন আগে। যে দেহগুলোর দায় নেয়নি কেউই। ভাসতে ভাসতে ভিন রাজ্য থেকে মৃতদেহ ভেসে আসতে পারে বাংলায়। গঙ্গার স্ত্রোত অনুযায়ী ‘ঝাড়খণ্ড থেকে মালদার দিকে ভেসে আসতে পারে মৃতদেহ। পাশাপাশি মালদার মানিকচক ঘাটের দিকে ভেসে আসতে পারে মৃতদেহ। যে ঘাটের গঙ্গা প্রায় এক কিলোমিটারের মতো চওড়া, সেখানে মৃতদেহ ভেসে এলে তা উদ্ধার করে সমস্ত সাবধানতা অবলম্বন করার পাশাপাশি সম্মানের সঙ্গে মৃতদেহগুলির অন্ত্যোষ্টির ব্যবস্থা করা হবে বলেই প্রশাসন জানিয়েছে। মালদার ডিএম, এসপি, সিএমওএইচ একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন গোটা কাজ সামলাতে। মালদার সমস্ত থানা জুড়েই জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট।



কোনওভাবেই অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই বলেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। মানিকচক ঘাটের কাছে মাঝিদের জাল, বাঁশ নিয়ে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে সেখান থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে মাটির অন্তত ৫ ফিট গভীরে মৃতদেহ রাখার ব্যবস্থা হবে বলেই প্রশাসন জানাচ্ছে। মৃতদেহ সম্মানের সঙ্গে সৎকারের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় জীবানুনাশক ছড়ানো হবে। প্লাস্টিক শিট তৈরি রাখা হয়েছে। 


গঙ্গার জলে ভেসে আসা দেহগুলি হয়তো কোভিড রোগীদেরই, সেই কথা মাথায় রেখেই সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কার বিষয়টি মাথায় রেখেই যাবতীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রশাসন। এদিকে, মানিকচক ঘাট ফারাক্কা বাঁধের দূরত্ব ২২ কিলোমিটার। যদি কোনও মরদেহ মানিকচক ঘাট থেকে স্ত্রোতের জেরে উদ্ধার করা না যায়, তাহলে ফরাক্কার কাছেও মৃতদেহগুলি উদ্ধার ও সেগুলি সৎকারের ব্যবস্থাও করে রেখেছে প্রশাসন।