কলকাতা: দেশে যখন করোনা সংক্রমণ বাঁধভাঙা গতিতে এগোচ্ছে, তখন তার পাশাপাশি চরমে পৌঁছেছে ভ্যাকসিন-সঙ্কট।
কলকাতার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, মালদা, পূর্ব বর্ধমান-সহ একাধিক জেলায় ভ্যাকসিন পেতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ৪৫ ঊর্ধ্বরা।
কোথাও দেওয়া হচ্ছে না ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ, কোথাও দ্বিতীয় ডোজটুকুও মিলছে না। ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রতিটি লাইনেই উপচে পড়া ভিড়, শিকেয় দূরত্ব বিধি। এই নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ অনেক জায়গাতেই।
এসএসকেএম হাসপাতাল চত্বরে ভ্যাকসিনেশনের জন্য দীর্ঘ লাইন। প্রায় হাজারখানেক মানুষের ভিড়। বয়স্করাও ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। এত ভিড়ের কারণে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি।
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে আজ শুধু করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। প্রথম ডোজ দেওয়া হচ্ছে না। ফলে প্রথম ডোজ নিতে এসে অনেকে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালের সামনে আজ ভোর ৫টা থেকে দীর্ঘ লাইন। সকাল সাড়ে ১০টাতেও দেখা গেল, অনেকেই ভ্যাকসিন পাননি। লাইন এতটাই দীর্ঘ যে তা হাসপাতাল চত্বর ছাড়িয়ে রাস্তাতেও চলে এসেছে। এরইমধ্যে নোটিস টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে, শুধু কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজই দেওয়া হবে।
এর মধ্যেও একটা সুখবর। রাজ্যে আসছে ১০ লক্ষ করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ। পুণে থেকে কোভিশিল্ডের যে ডোজ আসছে, তার মধ্যে ৬ লক্ষ রাখা হবে হেস্টিংসে কেন্দ্রীয় স্টোরে। বাকি ৪ লক্ষ বাগবাজারে রাজ্য সরকারের স্টোরে রাখা হবে।
বাগবাজারে রাজ্য সরকারের স্টোরে ভোটগ্রহণের জন্য তৈরি হয়েছে বুথ। ইতিমধ্যেই ভোটকর্মীরা তার দায়িত্ব নিয়েছেন। এরইমধ্যে এসে পৌঁছোচ্ছে ৪ লক্ষ কোভিশিল্ডের ডোজ।
বাংলাতে করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। বুধবা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে রেকর্ড ৬৮ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ৯৯২!
ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি করে রাজ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা এক লক্ষের দিকে এগোচ্ছে! মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে!
কলকাতার পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ৮৬৮ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় ৩ হাজার ৪২৫ জন!
শুধুমাত্র একদিনে কলকাতায় করোনা ২৬ জনের প্রাণ কেড়েছে। উত্তর ২৪ পরগনায় সংখ্যাটা ১১!