হুগলি: ফের লঘু পাপে গুরু দণ্ড! স্কুলে বেঞ্চের ওপর লাফালাফি করায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ শ্রীরামপুরের একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
অপরাধ বলতে, স্কুল ছুটির পর বেঞ্চের ওপর লাফালাফি করছিল পঞ্চম শ্রেণির এক পড়ুয়া। অভিযোগ, সেজন্য তাকে বেধড়ক মারধর করেন শিক্ষক বীরেন্দ্রনাথ ভড়।
পরিবারের অভিযোগ, মারধরের জেরে বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে ছাত্রটি। পেটে ও মাথায় চোট পাওয়ায় রাতে ভর্তি করা হয় ওয়ালশ হাসপাতালে।
বুধবার সকালে স্কুলে যান আহত ছাত্রর অভিভাবকরা। অশান্তির আশঙ্কায় পুলিশে খবর দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। আসে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ।
সবার সামনে ভুল স্বীকার করে নেন অভিযুক্ত শিক্ষক। বলেন, আমি মেরেছি। ভুল হয়ে গেছে।
ভুল স্বীকার করলেও অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন অভিভাবকরা। তাঁরা জানান, শিক্ষক ভুল স্বীকার করেছেন বলে পুলিশে অভিযোগ করা হচ্ছে না। তবে, প্রধান শিক্ষককে অভিযোগ করা হয়েছে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।
এই ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছে ২৯ অগাস্টের ঘটনার কথা। ক্লাসে দুষ্টুমি করায় এই স্কুলেরই ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রকে ফাইবারের পাইপ দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে শিক্ষক টিকেন্দ্রনাথ সরকারের নামে। ফের একই অভিযোগ সেই স্কুলেরই আর এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
কর্পোরাল পানিশমেন্ট রুখতে যেখানে আইন থাকা সত্বেও কেন বার বার ঘটছে এমন ঘটনা? প্রশ্ন অভিভাবকদের। আতঙ্কিত পড়ুয়ারা।