দক্ষিণ ২৪ পরগনা: স্কুলে দেরি করে আসায় প্রথমে ওঠবস। তারপর রোদ্দুরে দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ। জ্ঞান হারায় বাসন্তীর সরকারি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
ছাত্রীর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার তাঁর স্কুলে পৌঁছতে দেরি হওয়ায় শিক্ষিকা সৌমি ঘোষ ঘোষ প্রথমে তাঁকে বেশ কিছুক্ষণ ওঠবস করান। তারপর, স্কুলের মাঠে রোদ্দুরের মধ্যে দাঁড় করিয়ে রাখেন। প্রায় ঘণ্টা দেড়েক ঠায় রোদে দাঁড়িয়ে ছাত্রীটি জ্ঞান হারায়। মুখে চোট লাগে। একটি দাঁত ভেঙে যায়। রক্ত বেরেতো শুরু করে।
অভিযোগকারী ছাত্রী বলে, বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে স্কুল। হেঁটে যাই। খানা খন্দে ভরা রাস্তা। গতকাল যখন যাচ্ছিলাম তখন পা পিছলে রাস্তায় পড়ে যাই। ইউনিফর্ম বদলাতে বাড়ি আসি। তাতেই দেরি। কিন্তু, এই কারণ না জেনেই শাস্তি দেওয়া হয়।
অভিযোগ, এত কিছুর পরেও সরকারি স্কুলের বছর তেরোর এই ছাত্রীকে কোনও ডাক্তার দেখানো হয়নি। শুধু মুখে চোখে জল দেওয়া হয়। জ্ঞান ফিরলে ডাকা হয় অভিভাবকদের।
অভিযোগকারী ছাত্রীর দিদিমা বলেন, মেয়েটাকে জলও দেয়নি। অন্তত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তো নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল। প্রধান শিক্ষক দেবব্রত মণ্ডল বলেন, আর যাতে না ঘটে নজর রাখা হবে। এ নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষিকা মুখ খুলতে চাননি।