কলকাতা: ভ্যাকসিন সকলেই পাবেন। তাই ভ্যাকসিন নিয়ে মানুষকে হুড়োহুড়ি না করার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
বুধবার পানাগড়ে একটি বেসরকারি কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে ৪ কোটির বেশি টিকাকরণ হয়ে গেছে।
মমতা বলেন, ‘ভ্যাকসিন রাজ্যের হাতে নেই। কেন্দ্র পাঠালে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করে রাজ্য সরকার। গতকাল রাজ্যে ৪ কোটির বেশি টিকাকরণ হয়ে গেছে। তৃতীয় ঢেউয়ের দিকে নজর রেখে ১৪ কোটি টিকা প্রয়োজন। শিশুদের কথাও মাথায় রাখতে হচ্ছে।’
রাজ্যে ভ্য়াকসিন হয়রানির ঘটনা নিত্য ঘটে চলেছে। গতকাল জলপাইগুড়িতে ভ্যাকসিন কেন্দ্রে হুড়োহুড়িতে জখম হন ১৯ জন। আলিপুরদুয়ারেও ঘটেছে হয়রানির ঘটনা। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে ভ্যাকসিন টোকেন নেওয়ার লাইনেও শুরু হয় অশান্তি। কে আগে কুপন নেবেন তা নিয়ে লাইনে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। বেধে যায় হাতাহাতি।
এই প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন, সকলেই ভ্যাকসিন পাবেন। তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন থেকে কেউ বঞ্চিত হবেন না, কিন্তু হুড়োহুড়ি করবেন না। সরকার বলে দেবে কবে, কোথায় টিকা দেওয়া হবে।’
তিনি যোগ করেন, ‘শহরাঞ্চলে ৭৫ শতাংশ ভ্যাকসিনেশন হয়ে গেছে। শিশুদের টিকা দেওয়া নিয়ে আলোচনা চলছে। শিশুদের করোনা চিকিৎসায় ১০ হাজার বেড তৈরি রাখা আছে।’
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন জেলা থেকে ভ্যাকসিনেশন শিবিরে বিশৃঙ্খলার ছবি সামনে আসার পর নড়েচড়ে বসেছে নবান্ন। মঙ্গলবার সন্ধেয় সমস্ত জেলার জেলাশাসক, পুলিশকর্তা এবং জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যসচিব।
নবান্ন সূত্রে খবর, বৈঠকে ঠিক হয়েছে ভিড় সামাল দিতে কুপন ছাড়া ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না। অন্তত ১-২ দিন আগে কুপন দিয়ে দিতে হবে। কুপন ছাড়া কেউ আসতে পারবে না। পর্যাপ্ত জায়গা নিয়ে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প করতে হবে। প্রয়োজনে পুলিশ মোতায়েন রাখতে হবে। থানার আইসি-দের ভ্যাকসিনেশনের জায়গা সম্পর্কে তথ্য রাখতে হবে।