সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : প্রতি সপ্তাহেই এখনও একশো জনের সংক্রমিত, করোনার কবল কিছুতেই নাগালের মধ্যে না আনতে পেরে কড়া পদক্ষেপের পতে হাঁটল প্রশাসন। করোনার শৃঙ্খল ভাঙতে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর পুর এলাকায় এক সপ্তাহ বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। আগামী সোমবার থেকে ৭ দিন, অর্থাৎ ২১ থেকে ২৮ জুন, ব্যারাকপুর পুর এলাকার সমস্ত বাজার ও বহুজাতিক বিপণি বন্ধ থাকবে।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে, বুধবার জেলাশাসক, ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার ও পুর আধিকারিকরা বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যে বিধিনিষেধের আগল কমালেও যে অঞ্চলগুলিতে এখনও সংক্রমণের হার কমেনি সেই এলাকাগুলিতে ছোট ছোট কনটেন্টমেন্ট জোন তৈরি করা হবে। গোটা রাজ্যের মতোই উত্তর ২৪ পরগণাতেও করোনার সংক্রমণ আগের থেকে কমলেও ব্যারাকপুর পুর এলাকার করোনাচিত্র নিয়ে কিছুটা চিন্তার জেরেই কড়া পদক্ষেপ প্রশাসনের।
উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত বলেছেন, 'সংক্রমণ কমছে। কিন্তু কিছু জায়গায় কমছে না। তাই, মাইক্রো বেস কনটেনমেন্ট জোন ধরে এই সিদ্ধান্ত।' ব্যারকপুর পুরসভার প্রশাসক উত্তম দাস বলেছেন, 'শুধু ভ্যানে লিমিটেড বাজার যাবে।' শুক্রবার ব্যারাকপুরের আনন্দপুরী, ওয়ারলেস, চন্দনপুকুর, কালিয়ানিবাস, তালপুকুর সহ একাধিক বাজারে প্রশাসনের তরফে মাইকে প্রচার চালানো হয়।
এদিকে, উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে প্রবীণ নাগরিকদের করোনা ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে বিশৃঙ্খলা। শেষপর্যন্ত ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। তিনিই ছুটে গিয়ে লাইন ঠিক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ব্যারাকপুর পুরসভার উদ্যোগে ২ দিনের এই ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রতিদিন ৫০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কিন্তু পুরসভা সূত্রে দাবি, অনেক বেশি মানুষ চলে এসেছিলেন ভ্যাকসিন নিতে। তাঁদের মধ্যে লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে ঠেলাঠেলি, হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। একটি প্রেক্ষাগৃহে চলছিল ভ্যাকসিনেশন। মঞ্চে ছিলেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। তিনিই বিশৃঙ্খলা থামিয়ে লাইন ঠিক করেন।