কলকাতা: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলানোর আগেই তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা দেশজুড়ে। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে ঢেলে সাজাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, এদিন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানিয়েছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগে মহিলাদের জন্য স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নত করা হচ্ছে।


রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী পিটিআইকে জানিয়েছেন, রাজ্যের সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে ২৬ হাজারর শয্যা সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন লিঙ্গ ভিত্তিতে বর্তমানে ৬০:৪০ সমীকরণে হাসপাতালে শয্যা রয়েছে। আমরা ঠিক করেছি পুরুষদের জন্য হাসপাতালে বেডের সংখ্যা কমিয়ে মহিলাদের জন্য তা বাড়ানো হবে। এই সমীকরণ হবে ৪০:৬০। একইসঙ্গে তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কাও থাকছে। তাই শিশুদের জন্য হাসপাতালের বেড বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অজয় চক্রবর্তী।


তিনি বলেন, কোভিডের নতুন ভেরিয়েন্ট ডেল্টায় পরিবারের সব সদস্যদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই মায়ের সঙ্গে শিশুও আক্রান্ত হতে পারে। তাই মা করোনা নেগেটিভ বা করোনা সেরে সুস্থ হয়ে উঠলে  তাদের একসঙ্গে যাতে রাখা যায় সেই ব্যবস্থার কথা ভাবছি। সেপ্টেম্বর মাসেই তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে এই সময়সীমা ধরেই আমরা কাজ করছি। সূত্রের খবর, গোটা পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলছে রাজ্য সরকার।

অজয় চক্রবর্তী বলেন, মহামারীর প্রাথমিক পর্বে শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার ছিল অনেক কম। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই তা অনেকটাই বেড়ে যায়। যা বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসকের কাছে একটা সতর্কবার্তা।  তিনি জানিয়েছেন, মোট পরিকাঠামোর ৫ শতাংশ সিসিইউ এবং ১০ শতাংশ এইচডিইউ সংরক্ষিত থাকবে। মোট ৫০০টি পেডিয়াট্রিক কেয়ার ইউনিট এবং ১০০০টি এইচডিইউ শিশুদের জন্য ব্যবস্থা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। ৬টি পেডিয়াট্রিক কেয়ার ইউনিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, পুরুলিয়া, রামপুরহাট, ডায়মন্ডহারবারে।


পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সদ্যোজাতদের জন্য ৬৮টি নিউ বর্ন কেয়ার ইউনিট এবং নিউ বর্ন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে কোভিড বেডের ব্যবস্থা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।  অজয় চক্রবর্তী জানান, নিউ বর্ন কেয়ার ইউনিট এবং নিউ বর্ন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ, নার্সদের মোতায়েন করা হবে। পাঠানো হবে অক্সিমিটার সহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী।