কালিয়াচক: বাবার সম্পত্তি হাতাতেই গোটা পরিবারকে খুনের ছক। কালিয়াচককাণ্ডে প্রাথমিক তদন্তে দাবি পুলিশের। 


ওই ঘটনায় ধৃত পরিবারের ছোট ছেলে আসিফ মহম্মদ-সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু হয়েছে। ধৃতদের সঙ্গে অস্ত্র কারবারিদের যোগ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 


পুলিশের দাবি, এখনও পর্যন্ত পরিবারের ছোট ছেলে আসিফ মহম্মদকেই মূল ষড়যন্ত্রী বলে মনে করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডে আসিফের দুই বন্ধু ধৃত সাব্বির আলি ও মহম্মদ মাফুজের ভূমিকাও পুলিশের নজরে। 


পুলিশের দাবি, আসিফ তার বাবার কাছ থেকে প্রচুর টাকা নিয়েছিল। কী কারণে অর্থ আদায়, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃত আসিফের কাছ থেকে মিলেছে ল্যাপটপ, বেশ কিছু পেন ড্রাইভ। কীভাবে ওই সমস্ত যন্ত্র ব্যবহার হতো, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 
পুলিশের আরও দাবি, জেরায় আসিফ খুনের কথা স্বীকার করছে। জেরায় সে জানিয়েছে, খুনের আগের দিন বাজারে গিয়ে সে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে আনে। 


ঘটনার দিন মা-বাবা, দাদা-বোন ও ঠাকুমা-সহ পরিবারের পাঁচজনকে ঠান্ডা পানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর বেহুঁশ হয়ে পড়লে মুখে লাগানো হয়েছিল লিউকোপ্লাস্ট। 


পুলিশ সূত্রে খবর, চারমাস ধরে বাড়িতে একাই থাকত খুনে অভিযুক্ত আসিফ মহম্মদ। বাইরের কারও সঙ্গে মিশত না। অনলাইনে অর্ডার দিয়ে আনাত খাবার। 


প্রতিবেশীদের জানিয়েছিল, কিছুদিন জন্য পরিবারের সদস্যরা বাইরে গিয়েছেন। সন্দেহ এড়াতে বাড়িতে পরিচারিকাকেও ঢুকতে দেয়নি অভিযুক্ত। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আজ বাড়ি লাগোয়া গুদামঘরের মেঝে খুঁড়ে চারজনের দেহ উদ্ধার হয়।


ধৃতের আত্মীয়রা গতকাল দাবি করেন, সম্পত্তি ছোট ছেলে আসিফ মহম্মদের নামে লিখে দেন পরিবহণ ব্যবসায়ী জাওয়াদ আলি। সেই সম্পত্তি বিক্রি করতে চাওয়ায় সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। আসিফের দাদার সঙ্গে যোগাযোগ করায় সে-ই ফাঁস করে দেয় খুনের ঘটনা। 


স্থানীয়দের দাবি, অভিযুক্তের ল্যাপটপ ও অত্যাধুনিক গ্যাজেট ব্যবহারের ঝোঁক ছিল। ল্যাপটপে অ্যাপ তৈরির নেশা ছিল অভিযুক্তের। মাধ্যমিক পাসের পর পালিয়েছিল বাড়ি থেকে। কোথায় পালিয়েছিল, কীভাবে ফিরে এল খতিয়ে দেখছে পুলিশ।