প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: গরু পাচারকাণ্ডে আজ আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। তদন্ত শুরুর ১৪১ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দেওয়া হল বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে। চার্জশিটে এফআইআরে নাম থাকা চারজনের পাশাপাশি আরও তিনজনের নাম যুক্ত করা হয়েছে।
সিবিআই সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, চার্জশিটে নাম রয়েছে এনামুল হক, বিএসএফের কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমার, গোলাম মুস্তাফা ও আনারুল শেখের। এই চারজনের সঙ্গে চার্জশিটে এনামুলের স্ত্রী রশিদা বিবি, সতীশ কুমারের স্ত্রী তানিয়া সান্যাল ও শ্বশুর বাদলকৃষ্ণ সান্যালের নাম যুক্ত করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর মিলেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, চার্জশিটে ৪২০ ধারাও নতুন যোগ করা হয়েছে।
গরুপাচারকাণ্ডে এবার তৎপর হয়ে উঠেছে বিএসএফ। একসঙ্গে বরখাস্ত করা হয়েছে ৩ আধিকারিককে। বদলি করা হল আরও ৬জনকে। শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্তও। গাফিলতি ছাড়া গরুপাচার সম্ভব নয় বলে মেনে নিয়েছেন বিএসএফের এডিজি পঙ্কজকুমার সিংহ। তবে এরইসঙ্গে বিএসএফ কর্তা দাবি করেছেন, সীমান্ত দিয়ে এখন গরুপাচার অনেকটাই রোধ করা গেছে। তাঁর বক্তব্য, ২০১৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে মোট ৪৭ হাজার গরুপাচার হয়েছিল। পরের বছর তা কমে হয় ৩৯ হাজার। গত বছর আরও কমে দাঁড়ায় ১২ হাজার। ৩১ ডিসেম্বর গরু পাচারকাণ্ডে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী বিনয় মিশ্রের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি অভিযান হয়েছে। রাসবিহারী ও চেতলায় ওই ব্যবসায়ীর ২টি বাড়িতে হানা দেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছে, গরু পাচারের বেআইনি কারবারের টাকা বিনয় মিশ্রর মাধ্যমে নির্দিষ্ট কয়েকজন প্রভাবশালীর কাছে পৌঁছোত। একাধিক সাক্ষীর বয়ানে ওই ব্যবসায়ীর নাম উঠে এসেছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে। তবে তল্লাশি অভিযানের সময় বিনয়কে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বিনয় মিশ্রর বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।