স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের পর, শ্রমিক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। বহিষ্কৃত আইএনটিটিইউসি-র নিউ জলপাইগুড়ির সভাপতি প্রসেনজিৎ রায়।
তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, দলীয় স্তরে তদন্তে অভিযোগের সারবত্ত্বা মেলায় এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। পর্যটনমন্ত্রী ও দার্জিলিং (সমতল) তৃণমূল কোঅর্ডিনেটর গৌতম দেব জানিয়েছেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সারবত্তা মিলেছে, তাই বহিষ্কার করা হয়েছে।’
তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র বিক্ষোভের জেরে বৃহস্পতিবার রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় নিউ জলপাইগুড়ির স্থল বন্দর চত্বর। স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের অফিসে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।
মাসখানেক আগেই এই স্থল বন্দরের উদ্বোধন হয়। পণ্য তোলা ও নামানোর কাজে শ্রমিক নিয়োগ নিয়ে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে স্থানীয় শ্রমিকদের। এই দাবি তোলেন আইএনটিটিইউসি-র নিউ জলপাইগুড়ির সভাপতি প্রসেনজিৎ রায়। এই দাবিতে আইএনটিটিইউসি-র ডেপুটেশন দেওয়াকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে।
তবে শাসক নেতার এই দাবি উড়িয়ে তাঁর বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুলেছিল স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ। নিউ জলপাইগুড়ি স্থল বন্দরের ডিরেক্টর সঞ্জয় মারোয়াড় অভিযোগ করেন, ‘তোলা হিসেবে প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকা করে চেয়েছিলেন তৃণমূলের শ্রমিক নেতা। সেই টাকা না দেওয়ায় দলবল নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তিনি।’
এরপরই দলীয় স্তরে তদন্ত শুরু করে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। তদন্তের শেষে দল থেকে বহিষ্কার করা হল শ্রমিক নেতাকে। এ বিষয়ে গৌতম দেব বলেছেন, ‘আগেও ওর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ ছিল। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ। প্রাথমিক তদন্তে সারবত্তা মিলেছে। দল বরদাস্ত করবে না। তাই বহিষ্কার করা হয়েছে।’
এদিকে, স্থল বন্দরে হামলার ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই প্রসেনজিৎ রায়ের ৬ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত শ্রমিক নেতার খোঁজে তল্লাশি চলছে।