নয়াদিল্লি ও কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ইস্যুতে ‘শ্যাম ও কূল’ দুই-ই ধরে রাখার কৌশল নিল সিপিএম! একদিকে, পলিটব্যুরোর পথে হেঁটে কেন্দ্রীয় কমিটিও জানাল, কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের সিদ্ধান্ত দলের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না। অন্যদিকে, সন্ত্রাস মোকাবিলায় আলিমুদ্দিনকে একজোটে আন্দোলনের ছাড়পত্র দিয়ে দিল এ কে গোপালন ভবন!


সোমবার দিল্লিতে শেষ হয় সিপিএমের তিনদিনের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক। সূত্রের খবর, বৈঠকে অধিকাংশ সদস্যই পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের বিরোধিতা করেন। কিন্তু বঙ্গ ব্রিগেডও পাল্টা জানিয়ে দেয়, গণতন্ত্র বাঁচাতে, মানুষের চাহিদা মেনেই নির্বাচনী জোট করা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও সিপিএমের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটিতে বরফ গলেনি। যদিও জোটে অনড় থেকে, একজোটে আন্দোলনের সবুজ সঙ্কেত আদায় করে নিয়েছেন সূর্যকান্ত মিশ্র-বিমান বসুরা।

সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন,কংগ্রেসের সঙ্গে জোট দলের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। তার মোকাবিলায় মানুষের সম্ভাব্য বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে।
কিন্তু এই বৃহত্তর ঐক্যে কারা কারা থাকবে? এই প্রশ্নে সরাসরি কংগ্রেসের নাম না নিলেও, কৌশলে তাদের সঙ্গে জোটবদ্ধ আন্দোলনের ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি।ইয়েচুরি বলেছেন,
এখন তো ওখানে নির্বাচন নেই। তাহলে এই প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে?
প্রাপ্ত ভোটের হিসেব দিয়ে, আলিমুদ্দিনের নেতারা বারবার দাবি করেছেন, জোট না হলে এই ফলও হত না। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন সিপিএম সাধারণ সম্পাদকের গলাতেও সেই সুর শোনা গিয়েছে। বলেছেন, আমরা চেষ্টা করেছি। আমরা ২ কোটি ১৫ লাখ ভোট পেয়েছি। মমতার থেকে ৩০ লাখ কম। কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হয়নি। ব্যর্থতার কারণ খুঁজে বের করে মেরামতি করার চেষ্টা করা হবে।