কলকাতা: কেউ হাসির ছলে বলতেই পারেন, এতো গুরুমারা বিদ্যে! গুরুর কাছ থেকে তাঁকেই খোঁচা দেওয়ার অস্ত্র সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান অর্জন করা। স্বধিকার ভঙ্গের নোটিস কী? কীভাবে তা আনা যায়? বিধানসভায় নবাগত বিধায়কদের প্রশিক্ষণের জন্য কর্মশালায় সোমবারের বিষয় ছঠিল এটিই। অন্যতম প্রশিক্ষকের ভূমিকায় ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।
সেই কর্মশালাতেই সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য সৌগত রায়কে প্রশ্ন করেন, জবাবে সৌগত রায় বলেন, এর জন্য বিধানসভার কার্যবিবরণীতে নির্দিষ্ট ধারা রয়েছে। নির্দিষ্ট আবেদনপত্র আছে। আবেদনপত্রে পূরণ করে স্পিকারের কাছে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস দিতে হয়।
সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য বিধানসভার ভিতরে সরাসরি নারদ স্টিংয়ের প্রসঙ্গ না তুললেও, অনেকেরই ধারণা, সৌগত রায়কে তাঁর প্রশ্নের উদ্দেশ্যটা ছিল পরোক্ষে খোঁচা দেওয়া! কারণ, একসময় স্টিং-বিদ্ধ হয়ে নন্দীগ্রামের তৎকালীন বাম বিধায়ক মহম্মদ ইলিয়াসের পদ গিয়েছিল। অস্বস্তিতে পড়েছিল বামেরা। এখন নারদের স্টিং বিদ্ধ হয়েছেন তৃণমূলের একাধিক সাংসদ-মন্ত্রী। যার অন্যতম সৌগত রায়।
যদিও এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।
সৌগত রায় ছাড়া তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও এদিন প্রশিক্ষকের ভূমিকায় ছিলেন। তিনি আবার সৌগত রায় প্রসঙ্গে বলেন, সৌগত রায় দক্ষ বক্তা। বাজেট নিয়ে ভাল বক্তৃতা করেন। কিন্তু, মাঝেমধ্যে আমাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ান।
সব মিলিয়ে সরাসরি হোক বা ঘুরপথে, ফের একবার নারদের স্টিং ঘিরেই জমজমাট রাজ্য রাজনীতি।