কলকাতা: ঘূর্ণাবর্ত থেকে নিম্নচাপ। যার জেরে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও।


কোথাও ভেসে গিয়েছে রাজ্য সড়ক, কোথায় ভেসে গিয়েছে সেতু, কোথাও ভেঙে গিয়েছে ঘরবাড়ি। ক’দিনের টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জীবন। এই পরিস্থিতিতেও আশার বাণী শোনাতে পারেনি আলিপুর আবহাওয়া দফতর।


জানানো হয়েছে, ঘূর্ণাবর্ত পরিণত হয়েছে নিম্নচাপে। বর্তমানে নিম্নচাপটি অবস্থান করছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের ওপর। এর জেরে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে।  বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও।


রবিবার রাতভর বৃষ্টির পর সোমবার সকাল থেকেও কলকাতা সহ রাজ্যের মাথার ওপর কালো মেঘ। দফায় দফায় নামছে বৃষ্টি।


জলস্তর বাড়ছে রাজ্যের বিভিন্ন নদীতে। এই পরিস্থিতিতে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টি হলে কী হবে, তা নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ সাধারণ মানুষের।


কলকাতা পুরসভার হিসেব অনুযায়ী, রবিবার রাত ১২টা থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সবথেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে বালিগঞ্জে, ৭৮.৪৯ মিলিমিটার। নিউ মার্কেট এলাকায় ৫৩.০৯ মিলিমিটার। বেহালায় ৪৩.৯৩, উল্টোডাঙায় ৪২.৯৩, নিউ আলিপুরে বৃষ্টি হয়েছে ৪০.১৩ মিলিমিটার।


লাগাতার এই বৃষ্টিতে শহরজুড়ে জলছবি। জলমগ্ন কলকাতার বিভিন্ন এলাকা। বাগুইআটির কৈখালিতে বৃষ্টির জমা জলে এদিন সকালে আটকে পড়ে অ্যাম্বুল্যান্স। কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকর্মী একটি অটো দাঁড় করিয়ে রোগীকে তুলে দেন।


এছাড়ায় জল জমে যায় বেহালা, নিউ আলিপুর, তারাতলা, পার্ক সার্কাস কানেক্টর, কসবা, তিলজলা, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, এমজি রোড সহ শহরের অন্যান্য অংশেও।


অন্যদিকে, টানা বৃষ্টিতে গঙ্গার জলস্তর বেড়ে যাওয়ার ফলে দেখা দিয়েছে কলকাতা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা। পুরসভা সূত্রে খবর, জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় লকগেটগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, শহরের জমা জল পাম্প করে খালের মাধ্যমে গঙ্গায় ফেলা হচ্ছে। কিন্তু এর পর বৃষ্টি হলে লক গেটগুলি খুলে দিতে হবে।


সেক্ষেত্রে শহর প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা পুরসভার। পুরসভা সূত্রে খবর, পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর রয়েছেন পুরকর্মীরা।