সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) জওয়াদের সঙ্গী অমাবস্যার ভরা কটাল। দুইয়ের জেরে পশ্চিমবঙ্গের (WestBengal) উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের (Tidal Wave) আশঙ্কা। বাঁধ উপচে ঢুকতে পারে জল। এদিকে, ক্রমশ এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় জওয়াদ। আজই উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhrapradesh) ও দক্ষিণ ওড়িশা (Orissa) উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে। তারপর আরও কিছুটা উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে ওড়িশা উপকূল বরাবর সরে আগামীকাল দুপুর নাগাদ পুরী উপকূলের কাছে পৌঁছবে।


আবহাওয়া দফতর (Meteorological Department) সূত্রে খবর, এরপর ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ বাংলার দিকে হলেও, আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, জওয়াদের স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই। পুরীর কাছে পৌঁছেই শক্তি হারাবে ঘূর্ণিঝড়। বাংলায় ঢোকার আগে তা পরিণত হবে নিম্নচাপে। সেই নিম্নচাপ সুন্দরবনের উপর দিয়ে বাংলাদেশে চলে যাবে। তবে এর প্রভাবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় সকাল থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আজ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া ও হুগলিতে। আগামীকাল কলকাতাতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। সমুদ্র উত্তাল থাকায় মত্স্যজীবীদের জন্য জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। 


ঘূর্ণিঝড় জওয়াদের আশঙ্কায় গতকাল রাত থেকেই লালবাজারে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। যার নাম ইউনিফায়েড কম্যান্ড সেন্টার। কন্ট্রোল রুমে থাকছে কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দল, সিইএসসি ও কলকাতা পুরসভার প্রতিনিধিরা। এর পাশাপাশি, গঙ্গাবক্ষেও চলছে নজরদারি। আপত্কালীন পরিস্থিতির জন্য বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড় জওয়াদের আশঙ্কায় রেলের একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল করেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। বাতিল করা হয়েছে, হাওড়া-হায়দরাবাদ এক্সপ্রেস, হাওড়া-এমজিআর চেন্নাই মেল, হাওড়া-এর্নাকুলাম এক্সপ্রেস, হাওড়া-পুরী এক্সপ্রেস, হাওড়া-যশবন্তপুর এক্সপ্রেস, হাওড়া-ভাস্কো দ্য গামা এক্সপ্রেস-সহ বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন।