পার্থপ্রতিম ঘোষ, জয়দীপ হালদার ও অলোক সাঁতরা: ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) জাওয়াদের সতর্কতা। সপ্তাহান্তে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস (Rain Forecast)। যার জন্য ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। মাইকে চলছে প্রচার। পর্যটক ও মৎস্যজীবীদের জন্য রয়েছে বাড়তি সতর্কতা। এদিকে, ফসল বাঁচাতে পশ্চিম মেদিনীপুরে (West Midnapore) ধান ঘরে তোলা শুরু করেছেন কৃষকরা।


চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সপ্তাহান্তেই, বঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। দুর্যোগের আশঙ্কায় এখন থেকেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা শুরু করেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ ও ডায়মন্ড হারবারের উপকূলবর্তী এলাকায় মানুষদের সচেতন করতে মাইকে চলছে প্রচার। সতর্ক করা হচ্ছে মৎস্যজীবীদেরও।


ইতিমধ্যেই, শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত মত্স্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ায় জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।  কাকদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবারের পাশাপাশি ক্যানিংয়েও চলছে মাইকে প্রচার। ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি পূর্বাভাস রয়েছে ঝোড়ো হাওয়া বওয়ারও। এই আবহে পর্যটকদের জন্যও রয়েছে সতর্কবার্তা। পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুরে শনি থেকে সোমবার পর্যন্ত সমুদ্রের পাড়ে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।  এদিকে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে যাতে মাঠের ফসল মাঠেই না মারা যায়, তারও তোরজোড় চলছে।


পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি, দাসপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় পাকা ধান কেটে ঘরে তোলায় ব্যস্ত কৃষকরা। অন্যদিকে, মাঠে একবার জল জমে গেলে আর সম্ভব হবে না আলুবীজ পোঁতা। তাই বিপদ বুঝে ধান কাটার পাশাপাশি তড়িঘড়ি আলুবীজ পোঁতাও চলছে জোরকদমে। জেলা প্রশাসনের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, কৃষকদের পাশে থাকতে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি অজিত মাইতি বলেন, “সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে, কৃষকরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন তাতে যত দ্রুত সম্ভব ফসল তোলা হচ্ছে।’’ এদিকে, দুর্যোগ মোকাবিলায় মোতায়েন করা হয়েছে জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। প্রস্তুত করা হচ্ছে ত্রাণ শিবিরগুলিও।


আরও পড়ুন: Train Cancel Update: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়, আজ থেকে বাতিল আপ-ডাউন মিলিয়ে বাতিল ৫৩টি দূরপাল্লার ট্রেন