রঞ্জিত সাউ, প্রবীর চক্রবর্তী ও সুনীত হালদার : ঠিক এক বছর আগে এভাবেই আছড়ে পড়েছিল আমফান। স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল কলকাতা সহ গোটা রাজ্য। বিভিন্ন জায়গায় গাছ পড়ে আটকে গিয়েছিল বহু রাস্তা। ভেঙে পড়েছিল লাইটপোস্ট! বিদ্যুতের তারে গাছের ডাল পড়ায়, অন্ধকারে ডুবে ছিল বহু এলাকা। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ধাক্কায় যাতে এই অবস্থার মধ্যে না পড়তে হয়, তার জন্য এবার আগেভাগেই তৎপর প্রশাসন। শহরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা হচ্ছে গাছের ডাল। কলকাতা পুরসভার তরফে তৈরি রাখা হল পোর্টেবেল পাম্প। পাশাপাশি ১৭টি জেলায় বিদ্যুৎ দফতর ও CESC-র প্রায় দেড় হাজার দল প্রস্তুত আছে বলে জানালেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।


গাছের ডাল ভেঙে যাতে বিদ্যুতের তার না ছিঁড়ে পড়ে, তারজন্য শহর ও পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন জায়গায় গাছের ডাল কাটার কাজ করছে পুরসভা ও CESC। যোধপুর পার্কে আবার হেলে পড়া একটি গাছের ডাল কেটে রাস্তা পরিষ্কার করেন পুরসভা ও NDRF-এর কর্মীরা। এদিকে, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে ইতিমধ্যেই কন্ট্রোল রুম চালু করেছে বিদ্যুৎ দফতর। সেখানকার ফোন নম্বরগুলি হল 8900793503 ও 8900793504।


এদিকে এদিন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি হিসেবে ১৭টি জেলায়, ১৭জন আধিকারিককে নিযুক্ত করেছে বিদ্যুৎ দফতর। কলকাতায় CESC-র ১৪১টি দল প্রস্তুত রয়েছে। কলকাতার বাইরে রয়েছে ৭৬টি দল। বিদ্যুৎ দফতর ও CESC মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৪২২টি দল কাজ করছে। বিদ্যুৎভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলার রিজিওনাল অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন শীর্ষ আধিকারিকরা। যে তৎপরতা ও সতর্কতার পিছনে গতবারের আমফান স্মৃতির শিক্ষার কথা উঠে এল তাঁর কথায়।


বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেছেন, 'কলকাতা পুরসভা ও কলকাতা পুলিশ এবং আমরা যৌথ ভাবে কোথাও গাছ পরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে সেটা যতটা সম্ভব দ্রুততার সঙ্গে গাছ কেটে বিদ্যুৎ সংযোগ করা যায় তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গতবার থেকে আমরা অনেককিছু শিখেছি। যদি ম্যাসিভ কিছু হয় সেক্ষেত্রে অসুবিধা হয়, তবে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।' সঙ্গে ইয়াসের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, 'কন্ট্রোল রুম থেকে প্রতি জেলার রিজনাল ম্যানেজারদের থেকে প্রতি ঘন্টায় আমাদের আধিকারিকরা রিপোর্ট নিচ্ছে। পরিবেশ পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে সেটা ডাইরেক্ট মনিটরিং হচ্ছে। প্রতি তিন ঘণ্টা অন্তর অন্তর আধিকারিকরা এখান থেকে মনিটরিং করবে।'