রানা দাস, পূর্ব বর্ধমান: দাদা বলে ডাক। বাইক থামাতেই খুব কাছ থেকে গুলি। সোমবার ভর সন্ধেয় প্রকাশ্যে খুন তৃণমূলের মঙ্গলকোটের লাকুড়িয়ার অঞ্চল সভাপতি অসীম দাস। ঘটনায় বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছে শাসকদল। খুনের পিছনে তৃণমূলেরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, পাল্টা দাবি গেরুয়া শিবিরের
ভরসন্ধেয় শ্যুটআউট!প্রকাশ্যে খুন হয়ে গেলেন তৃণমূল নেতা।ফের রক্তে ভিজল পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের মাটি। আততায়ীদের বুলেট প্রাণ কাড়ল তৃণমূলের লাকুড়িয়া অঞ্চল সভাপতি অসীম দাসের।
পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার সন্ধেয় মঙ্গলকোটের কাশেমনগরে দলীয় কর্মসূচি সেরে, বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূল নেতা। রাস্তায় ওঁত পেতে ছিল আততায়ীরা।স্থানীয় সূত্রে পুলিশ জানতে পেরেছে, সিওর বাজারের কাছে পৌঁছতেই, অসীম দাসকে দাদা বলে ডেকে ওঠে এক বাইক আরোহী দুষ্কৃতী। তৃণমূল নেতা বাইক থামাতেই, পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালায় আততায়ী।
দাদা বলে কে ডাকল? পরিচিত কেউ? খুনের নেপথ্যে কার ষড়যন্ত্র? রাজনৈতিক কারণ নাকি ব্যক্তিগত শত্রুতা? কী কারণে এভাবে প্রকাশ্যে খুন হলেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা? সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
বুকে গুলি লাগে তৃণমূল নেতা অসীম দাসের। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে মঙ্গলকোট ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে, মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
মঙ্গলকোটের তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরীর অভিযোগ, লাকুড়িয়ায় তৃণমূল ঘাঁটি শক্ত করেছে। অশান্তির জন্যই বিজেপি খুন করেছে।
গত লোকসভা ভোটে মঙ্গলকোটের লাকুড়িয়া অঞ্চলে লিড পায় বিজেপি।এরপর লাকুড়িয়ার দায়িত্বে বসানো হয় অসীম দাসকে।তাঁর নেতৃত্বে গত বিধানসভা ভোটে লাকুড়িয়ায় বিজেপিকে টেক্কা দেয় তৃণমূল।তৃণমূলের অভিযোগ, ভোটে হারের জেরে অসীম দাসকে টার্গেট করে বিজেপি। বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও এই ঘটনায় বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।
বিজেপির পাল্টা দাবি, এই ঘটনায় তাদের কোনও যোগ নেই। বালির বখরা নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই খুন হয়েছেন তৃণমূল নেতা।
পুলিশের সন্দেহ, রীতিমতো পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে ওই তৃণমূল নেতাকে।নেপথ্যে পরিচিতদের হাত থাকতে পারে বলেও সন্দেহ দানা বাধছে।দুষ্কৃতীদের খোঁজে এলাকা জুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।