সনৎ ঝা ও মলয় চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি : মিলছে না বেতন। অবসরকালীন ভাতা অমিল। পাচ্ছেন না সার্ভের ভাতাও। করোনা যুদ্ধে প্রথম সারির সৈনিক হওয়া সত্ত্বেও পরিবারের সদস্যদের এখনও ভ্যাকসিনেশন হয়নি। এমন একাধিক অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন শিলিগুড়ি পুরসভার আওতাধীন ২৩৮ জন আশাকর্মী। আর তা নিয়ে গৌতম দেব পরিচালিত পুরপ্রশাসক বোর্ডকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। পাল্টা জবাব দিয়েছে শাসক শিবির।


বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি সমস্যা মেটানোর দাবিতে মঙ্গলবার পুর কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন আশাকর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, জুন মাসের বেতন ও অবসরকালীন ভাতার পাশাপাশি ডেঙ্গির সার্ভে ভাতা মেলেনি। দার্জিলিং জেলা স্বাস্থ্যকর্মী ইউনিয়নের সম্পাদিকা শেফালি ভট্টাচার্য বলেছেন, 'আমাদের বেতন হয়নি। পরিবারের লোকেদের ভ্যাকিসেনশন হয়নি। যে সব আশা কর্মী অবসর নেবেন, তাঁদের এককালীন ৩ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলেও সেই ভাতা দেওয়া হয়নি।'


বিধানসভা ভোট মিটতেই রাজ্যের পুরসভাগুলিতে ফের একবার প্রশাসক নিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার। বিধানসভা ভোটে হেরে যাওয়ার পর শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবকে। তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। কলকাতা পুরসভার প্রশাসকের দায়িত্ব যদি ফিরহাদ হাকিম ফিরে পেতে পারেন, একই নিয়ম শিলিগুড়ির পূর্বতন পুরপ্রশাসক অশোক ভট্টাচার্যের ক্ষেত্রে কেন বলবৎ হবে না, সেই প্রশ্ন ওঠে।


আর আশাকর্মীদের বিক্ষোভ সামনে আসতেই সেই প্রসঙ্গ টেনে পুরসভায় অব্যবস্থার অভিযোগ এনেছেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি বিধায়ক। শঙ্কর ঘোষ বলেছেন, 'ভোটে হেরে যাওয়া ব্যক্তিকে পুরপ্রশাসক করা হয়েছে। দৈনন্দিন কাজে নজর নেই। আশাকর্মীদের ভাতা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অথচ পুরসসভায় চাকচিক্য কম নেই। এভাবে চললে পুরসভা অচল হয়ে যাবে।' যার পাল্টা দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য রঞ্জন সরকার বলেছেন, 'এটা নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়। রাজ্য পুর দফতর থেকে ওদের ভাতা আসে। এবার আসতে একটু দেরি হয়েছে। তাঁরা পেয়ে যাবেন। কোনও সমস্যা নেই। শুধু উল্টো রাজনীতি করার জন্য সমস্যা খুঁজে বেড়াচ্ছে।'


এদিকে, অবিলম্বে দাবি মেটানো না হলে কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আশাকর্মীরা।