এদিকে, দার্জিলিঙের লালকুঠিতে এ দিন জিটিএ অফিসে যান বিনয় তামাং। ভিড় জমান মোর্চা সমর্থকরা।
সোমবার দীর্ঘদিন পর খুলল কালিম্পং পুরসভাও। মোর্চার নেতৃত্বে বোর্ড গঠনের পর মাত্র দুদিন কাজ করেছিল এই পুরসভা। তারপরই পাহাড়ে শুরু হয় অশান্তি। বিমল গুরুঙ্গের নির্দেশ বন্ধ করে দেওয়া হয় কালিম্পং পুরসভার অফিস। অবশেষে তা খুলল।
পর্যবেক্ষকদের মতে, এই দুই ছবিই বলে দেয়, ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে পাহাড়। পাশাপাশি, পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণও কি দ্রুত গতিতে বদলাচ্ছে? বিমল গুরুঙ্গের থেকে রাশ কি অনেকটাই চলে এসেছে বিনয় তামাঙের হাতে?
বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর চেয়ারম্যান বিনয় তামাঙ্গ বলেন, সুবাস ঘিসিং থেকে যখন বিমল গুরুঙ্গের হাতে ক্ষমতা এসেছিল তখন তাঁর সঙ্গে শুরুতেই খুব বেশি মানুষ ছিলেন না। কিন্তু, ক্রমশ সমর্থন বেড়েছে। এখন আমাদের সঙ্গে আশি ভাগ সমর্থন। কিছুদিনের মধ্যে নিরানব্বই ভাগ হয়ে যাবে।
মোর্চার হাতে থাকা কার্শিয়ং পুরসভার কাউন্সিলররা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা এখন বিনয় তামাঙের পাশে। রবিবার, দার্জিলিং পুরসভার ২২ জন মোর্চা কাউন্সিলরও সাংবাদিক বৈঠক করে বিনয় শিবিরকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেন।
কার্শিয়ং, দার্জিলিং পুরসভার কাউন্সিলরদের পাশে পাওয়ার পর বিনয় তামাঙের নজর কালিম্পঙের দিকে। তিনি বলেন, কাল অনীত থাপা এবং পরশু দিন আমি কালিম্পঙে যাব। কালিম্পঙের মানুষ দেখিয়ে দেবে, তাঁরাও আমাদের সঙ্গে রয়েছেন।
তা হলে কি পাহাড়ে এবার নতুন অঙ্ক। মোর্চার নেতা-সমর্থকরা কি ক্রমেই বিমল গুরুঙকে ছেড়ে বিনয় তামাঙ শিবিরে দিকে ঝুঁকছেন? এ নিয়েই এখন জল্পনা তুঙ্গে।
Web Desk, ABP Ananda