দার্জিলিং: লক্ষ্য, পাহাড়ের স্থায়ীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা। বিমল গুরুংকে কব্জায় আনা। সেই লক্ষ্যে, সোমবার দার্জিলিঙের পর মঙ্গলবার কালিম্পং গেলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। এদিন কালিম্পং থানায় দু’দফায় বৈঠক করেন সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ।
সূত্রের খবর, ডিজি বার্তা দেন, যারা অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। নজরদারি বাড়াতে হবে সিকিম সীমানায়। স্থানীয় সোর্সের ওপর আরও জোর দিতে হবে। কালিম্পং থানার যেখানে গ্রেনেড হামলা হয়েছিল, সেই জায়গাও পরিদর্শন করেন ডিজি। বিমল গুরুংয়ের একসময়ের খাসতালুক ডাম্বারচকে যান তিনি।
এদিকে, গুরুঙের ওপর চাপ বাড়িয়ে, এসআই অমিতাভ মালিকের মৃত্যুর ঘটনায় দার্জিলিং সদর থানায় খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, বিমল গুরুং-সহ ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। খুনের পাশাপাশি অস্ত্র এবং বিস্ফোরক আইনেও রুজু হয়েছে মামলা।
পুলিশ সূত্রে দাবি, সিংলার জঙ্গলে গুলির লড়াইয়ে গুরুংয়ের বেশ কয়েকজন অনুগামী জখম হন। তাদের চিকিৎসার জন্য সিকিম থেকে ডাক্তারদের জঙ্গলে আনা হয়। মোবাইল টাওয়ারের সূত্র ধরে তাদের ওপর লক্ষ্য রাখছে পুলিশ। পাহাড়ের উন্নয়নে যাতে গতি আসে সেদিকেও নজর দিয়েছে রাজ্য সরকার।
অর্থ দফতর সূত্রে খবর, পাহাড়ের জন্য নতুন করে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যে সব ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেগুলি মেরামতির পাশাপাশি, রাস্তা, বিদ্যুৎ পানীয় জল সরবরাহের মতো থমকে থাকা উন্নয়নমূলক কাজ শেষ করা হবে। ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট খতিয়ে দেখার পরই, বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরকে ধাপে ধাপে এই টাকা দেওয়া হবে।
বিজেপি-র অবশ্য দাবি, জিটিএ-তে প্রশাসক বসানোই অশান্তির অন্যতম কারণ। এ নিয়ে তারা সম্ভবত মামলা দায়েরও করতে চলেছে। দলের সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, জিটিএ চুক্তি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি। তাই যে কোনও ডেভলপমেন্ট তিনপক্ষের মধ্যে আলোচনা। বোর্ড ভাঙল, প্রশাসক বসাল। আইন মেনে করা হয়েছে। বৈধ কি? আইনি শাখার সঙ্গে আলোচনা করছি। যদিও রাজ্য সরকার বরাবরই দাবি করে আসছে, যা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা পাহাড়ের সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই।