বীরভূম: বোলপুরে ভাইজিকে ধর্ষণ করার অপরাধে কাকাকে ফাঁসির নির্দেশ আদালতের। সাজা শুনেও নির্বিকার কাকা। বিচারককে বলল নির্দোষ, ফাঁসানো হয়েছে।


ভাইজিকে ধর্ষণের দায়ে কাকার ফাঁসির নির্দেশ। পরিবারের মধ্যে শিশুদের সঙ্গে হওয়া অপরাধের আরও এক বিরল নজির। এত কিছুর পরেও সাজা শুনে নির্বিকার কাকা।

গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বোলপুরের সেয়ানমূলকের বাড়িতে খেলছিল ৫ বছরের শিশু। কাকা এসে ঘুরতে যাওয়ার নাম করে বাড়ির বাইরে নিয়ে যায়। অনেকটা সময় পরও বাড়ি না ফেরায় খোঁজ শুরু হয়। বাড়ির পেছনের নিকাশি নালার পাশ থেকে উদ্ধার হয় নাবালিকার রক্তাক্ত দেহ। স্থানীয় চিকিৎসারকেন্দ্র থেকে বর্ধমান হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। শিশুকে। দু’দিনের লড়াইয়ের পর বর্ধমানের হাসপাতালেই মৃত্যু হয় নাবালিকার।

ঘটনার পরই গ্রেফতার হয় কাকা। সিউড়ি আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শুরু। নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী দাবি বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধে ফাঁসি হওয়া উচিত কাকার। কাকা অভিযোগ অস্বীকার করেলও পুলিশি তদন্তে উঠে আসা সমস্ত প্রমাণ থেকে আদালতের কাছে কাকার অপরাধ স্পষ্ট হয়ে যায়।

এপ্রিল মাসে পেশ হয় চার্জশিট। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয় যৌন নির্যাতনের জেরেই খুন নাবালিকা। সুফল টুডুর বিরুদ্ধে প্রিভেনশন অফ চিল্ড‍্ন ফর্ম সেক্সচুয়াল অ্যাক্ট বা পস্কো অ্যাক্টের ৬ ধারাও যুক্ত করেছে পুলিশ। তার ভিত্তিতে চার্জ গঠন করে আদালত। শুরু হয় সাক্ষ্য গ্রহণ। সওয়াল-জবাব শেষে১৫ দিনের মধ্যে সোমবার কাকা সুফল টুডুকে দোষি সব্যস্ত করে আদালত। তখনও কাকা দোষ স্বীকার করেনি। মঙ্গলবার ফাঁসির সাজা শোনান বিচারক।

আদালতে আইনজীবীদের চোখা চোখা প্ৰশ্ন- উত্তর চলল দশ মাস ধরে। অবশেষে মিলল বিচার। বাবা - মায়ের চোখে আনন্দশ্রু। শুধু একটাই আক্ষেপ ছোট্ট মেয়েটা আর কোনও দিন বাড়ি ফিরবে না, এটা চাই- ওটা চাই বলে আব্দার করবে না। মা বলে ডাকবেও না।