সমীরণ পাল, দেগঙ্গা (উত্তর ২৪ পরগনা): রাজারহাট নারায়ণপুরের যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো দেগঙ্গা হাড়োয়া রোড স্টেশন চত্বর এলাকায় কলোনিতে। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্ত্রী ওই যুবককে মাসি বাড়িতে ডেকে এনে খুন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মৃত যুবকের নাম পাপাই মন্ডল (৩০)। অভিযোগ তাঁর স্ত্রী মীনাক্ষী মন্ডল মাসির বাড়িতে নিয়ে এসে রাতে বিষ খাইয়া তাঁকে খুন করেছে। এই ঘটনায় দেগঙ্গা থানার পুলিশ তিন জনকে আটক করেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দত্তপুকুর থানার কয়ড়া কদম্বগাছি এলাকার বাসিন্দা মীনাক্ষী মন্ডলের সঙ্গে ৫ মাস আগে বিয়ে হয় রাজারহাট নারায়ণপুরের বাসিন্দা পাপাই মন্ডলের। মীনাক্ষীর বাবা-মা কেউ নেই। সে তার মাসির কাছে মানুষ হয় দেগঙ্গার হাড়োয়া রোড স্টেশন চত্বর এলাকায় কলোনিতে। গত মঙ্গলবার মীনাক্ষী তার স্বামী পাপাই মন্ডলকে নিয়ে দেগঙ্গা হাড়োয়া রোড স্টেশন কাছে মাসির বাড়িতে বেড়াতে আসে। সোমবার গভীর রাতে পাপাই মন্ডল অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। সেখান থেকে তাঁরা মৃতদেহ নিয়ে বাড়িতে ফিরে এসে খবর পৌঁছে দেয় মৃত যুবকের বাড়িতে। পাপাইয়ের পরিবারের লোকজন দেগঙ্গা থানায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে, দেগঙ্গা থানার পুলিশ খবর পেয়ে হাড়োয়া রোড স্টেশন চত্বর এলাকায় ওই কলোনি থেকে ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মৃত যুবকের পরিবারের অভিযোগ , বিয়ের আগে থেকেই তাঁদের বৌমা অর্থাৎ পাপাই মন্ডলের স্ত্রীর অন্য কারুর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। প্রায়শই হাড়োয়া রোড স্টেশন চত্বরে মাসির বাড়িতে চলে আসত সে। তাঁদের অভিযোগ, আর সেখানেই এসে ঘটনার দিন রাতে খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে পাপাইকে খুন করেছে তাঁর স্ত্রী। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত স্ত্রী মীনাক্ষী মন্ডল তার মাসি শেফালি মুখার্জি এবং মেসোমশাই সোমনাথ মুখার্জীকে দেগঙ্গা থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আজ দুপুরে তাদেরকে বারাসাত জেলা আদালতে পেশ করে ধৃতদের পুলিশ হেফাজত চাওয়া হয়। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।