এবিপি আনন্দের প্রতিনিধি জয়ন্ত পাল জানাচ্ছেন, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর অনিন্দ্যকিশোর রাউত ও তাঁর অনুগামীরা। সাধন পাণ্ডে ও তাঁর সঙ্গীরা সেখানকার মুক্ত মঞ্চে হাজির হলেই, তেড়ে আসে রাউতের গোষ্ঠী। তারপর দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বাদানুবাদ থেকে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতেই এবিপি আনন্দের প্রতিনিধ প্রশ্ন রাখেন, কেন তাঁর মতো বর্ষীয়ান নেতার সামনেই দলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ? তখনই তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন সাধন পাণ্ডে।
ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর ও মন্ত্রী কেউই এনিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। গতকাল ১৪ নম্বর ওয়ার্ডেও দুয়ারে সরকার কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে উল্টোডাঙায়। ছিঁড়ে দেওয়া হয় নথি। মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের অনুগামীদের অভিযোগ, বিদায়ী পুর কাউন্সিলরের অনুগামীরা লাইন ভেঙে ঘনিষ্ঠদের নাম নথিভুক্ত করাতে শুরু করে। এতে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। মন্ত্রী এসে নাম নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেন। বিদায়ী পুর কাউন্সিলরের দাবি, মন্ত্রী এসে গোটা প্রক্রিয়া ভণ্ডুল করে নথি ছিঁড়ে দেওয়ায় উত্তেজনা তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে যায় মানিকতলা থানার পুলিশ।
মানিকতলার মুচিপাড়া এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। সেই ঘটনারই ছায়া আজকে ঘটল।
অন্যদিকে, দুয়ারে সরকার কর্মসূচিকে দুয়ারে যমরাজ বলে কটাক্ষ করেন বিজেপি সাংসদ।এদিন খড়গপুরে চা-চক্রে যোগ দেন পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতো। সেখানে তিনি বলেন, চাল-কয়লা-বালি-লোহাচুরি ও আমফান দুর্নীতি ধামাচাপা দিতেই রাজ্য সরকারের এই কর্মসূচি। তৃণমূলের জেলা সভাপতির প্রতিক্রিয়া, রাক্ষসের সরকার কৃষকদের সবকিছু নিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে। নোট বাতিল করে গরিব মানুষের টাকা খেয়ে ফেলেছে। এদিন খড়গপুরে বিজেপির গৃহ সম্পর্ক অভিযান কর্মসূচিতেও অংশ নেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ।
এর আগে 'দুয়ারে সরকার' প্রকল্পকে তৃণমূলের পাবলিসিটি স্টান্ট বলে কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ।