শিলিগুড়ি ও কালিম্পং: চার মাস ধরে বনধ চলেছে পাহাড়ে। চাপের মধ্যে ছিলেন, কেউ কোনও সহযোগিতা করেনি, তাই তিনি পাহাড়ের মানুষের সঙ্গে দেখা করে দুঃখ কষ্ট ভাগ করতে এখানে এসেছেন বলে শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।


কিন্তু সফরের শুরুতেই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে! কালিম্পংয়ে দিলীপ ঘোষকে দেখে গো ব্যাক..দূর হঠো স্লোগান দেওয়া হয়। একবার নয়, বারবার!

‍বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে দার্জিলিং, কালিম্পং। বেগতিক বুঝে চাপের মুখে সপ্তমীর দিন বনধ প্রত্যাহার করে নেন বিমল গুরুং। আর তার এক সপ্তাহের মাথায় পাহাড় সফরে দিলীপ ঘোষ!

বুধবার শিলিগুড়ি থেকে ডাম্বারচক পৌঁছন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেখানে তখন চলছিল হড়কা বাহাদুর ছেত্রীর জন আন্দোলন পার্টির বিক্ষোভ...স্লোগান। বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে উদ্দেশ্য করে হরকা বাহাদুরের প্রশ্ন, ‘কেন এলেন? ১০৪ দিন কী করছিলেন? বেশরম...ইস্তফা দিন অহলুওয়ালিয়া।‘

বিক্ষোভের মধ্যেই হেঁটে হোটেলে যান দিলীপ। সেখান থেকে মারোয়ারি ভবনে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয় সেখানেও। অভিযোগ, সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের। তবে এক্ষেত্রে বিক্ষোভকারীদের হাতে কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা ছিল না। এখানেই বিক্ষোভের পাল্টা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করে বিজেপি। পাহাড়ে বারবার বিক্ষোভের মুখে পড়লেও, গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

বিক্ষোভকে হাতিয়ার করে তৃণমূল নেতৃত্বের গলায় কটাক্ষের সুর।

পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের দাবি,মানুষ তো বিক্ষোভ দেখাবেই, এরা তো পাহাড়ে বিভাজন তৈরি করতে চায়।

পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে বিজেপি।

দিলীপ ঘোষের সফর ঘিরে শুধু বিরোধীরাই যে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তা নয়, বিজেপির জোট শরিক গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নামেও পোস্টার পড়েছে। সেখানেও গোর্খাল্যান্ড-প্রতিশ্রুতি নিয়ে বিজেপির উদ্দেশে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে, বৃহস্পতিবার দার্জিলিঙে যাওয়ার কথা রয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতির।