কলকাতা:  সতীর ৫১ পীঠের অন্যতম বীরভূমের লাভপুরের ফুল্লরা মন্দির। এখানে কালী নন, দেবী পূজিতা হন দুর্গা রূপে। মাকে এখানে ফুল্লরা নামে সম্বোধন করা হয়। কথিত আছে, এখানে মায়ের অধর পড়েছিল। তাই অনেকেই এই স্থানকে অট্টহাসও বলে থাকেন, তবে অট্টহাস নাম নিয়ে বিতর্কও রয়েছে। কালীপুজো উপলক্ষে এখানে বিশেষ পুজো হয়। মন্দিরের কাছেই দেবীদহ নামে একটি জায়গা থেকে রামচন্দ্রের অকালবোধনের জন্য হনুমান পদ্ম ফুল সংগ্রহ করেছিলেন বলে কথিত আছে।




৫১ পীঠের অন্যতম বীরভূমের নলহাটির নলাটেশ্বরী মন্দির। কথিত আছে, এখানে সতীর গলার নলি পড়েছিল। নলাটেশ্বরী থেকেই এলাকার নাম নলহাটি। কালীপুজোর সকালে মঙ্গলারতি হয়। এরপর শুরু হয় নিত্যপুজো। রাতে ১০৮টি প্রদীপ জ্বালিয়ে মায়ের বিশেষ আরতি হবে। মায়ের মন্দিরে হবে হোম-যজ্ঞ। এবার করোনা আবহে মন্দির চত্বর অনেকটাই ফাঁকা।



বীরভূমে কোপাই নদীর তীরে কঙ্কালীতলা মন্দির। সতী পীঠের অন্যতম এই স্থানে মায়ের কাঁখাল অর্থাৎ কোমরের হাড় পড়েছিল বলে কথিত রয়েছে। ৫১ পীঠের শেষ পীঠ কঙ্কালীতলা। এখানে একটি কুণ্ড রয়েছে। মায়ের স্নানজল হিসেবে ব্যবহার হয় এই কুণ্ডের জল। মন্দির লাগোয়া একটি শ্মশানও রয়েছে। এদিন অন্নভোগে মাকে দেওয়া হয় পুষ্পান্ন, ৫ রকমের ভাজা, ডাল, নিরামিষ তরকারি, চাটনি ও পায়েস। আজ দীপান্বিতা অমাবস্যা উপলক্ষ্যে অন্যান্য বছরের মতো এবছরও কঙ্কালীতলায় ভক্তদের ভিড়। করোনা বিধি মানতে ৪-৬ জনকে গর্ভগৃহে ঢোকার অনুমতি। মন্দির চত্বরে বসানো হয়েছে স্যানিটাইজিং টানেল। সেখান দিয়ে প্রবেশের পর গর্ভগৃহে ঢুকতে হচ্ছে ভক্তদের। রাতে শ্যামা মায়ের বিশেষ পুজোর আয়োজন।