সুনীত হালদার, ডোমজুর: ঘরের ভেতর এক কোমর জল। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়েই গ্রামবাসীরা আশ্রয় নিয়েছিল ত্রাণ শিবিরে। স্থানীয় তৃণমূল নেতার দাদাগিরিতে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হল গ্রামবাসীদের। ঘটনাটি ঘটেছে ডোমজুড়ের বেগড়িতে। ঘরে ফিরে ওই গ্রামবাসীরা দেখেন এখনও এক কোমর জল। তাই চরম দূর্ভোগে রয়েছেন ডোমজুড়ের বেগড়ি সরকার পাড়ার গ্রামবাসীরা। যার দিকে আঙুল, সেই তৃণমূল নেতা অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ফের তাদের ত্রাণ শিবিরে ফিরিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।


গত বুধবার এবং বৃহস্পতিবারের  টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে ডোমজুড়ের সরকারপাড়া এলাকা। গ্রামবাসীদের ঘরে ঘরে কোমর সমান জল ঢুকে যায়। রাস্তাতেও জল থৈ থৈ করতে থাকে। বাধ্য হয়ে গ্রামবাসীরা স্থানীয় বিপন্নপাড়া সরকার পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ত্রাণশিবিরে 23 জন গ্রামবাসী আশ্রয় নেন। সেখানে বেগড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে খাবার এবং পানীয় জলের বন্দোবস্ত করা হয়।


কিন্তু এরপরই ঝামেলার সূত্রপাত। গত সোমবার রাতে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা অরবিন্দ সরদার হঠাৎ গ্রামবাসীদের ত্রাণ শিবির ছেড়ে যেতে বলেন বলেন বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়েই নিরুপায় গ্রামবাসীরা তখন তাঁদের  লোটাকম্বল নিয়ে ঘরে ফিরে আসেন। কিন্তু এসে দেখেন তখনও ঘরের ভেতরে জল থৈ থৈ করছে। অনেকের মাটির বাড়ির অবস্থা এতটাই খারাপ যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে।


এরপরই সেই তৃণমূল নেতার অমানবিক আচরণের খবর চাউর হয়ে যায়। এই মুহূর্তে চরম দূর্ভোগে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ ওই তৃণমূল নেতার চাপে তাঁরা ত্রাণ শিবির ছাড়তে বাধ্য হন। এদিকে তৃণমূল পরিচালিত বেগড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান অনিরুদ্ধ মল্লিক এই বিষয়ে গ্রামবাসীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, ওই তৃণমূল নেতা ভুল করেছেন। গ্রামবাসীরা সমস্যায় পড়ে ত্রাণ শিবিরে যান। বাড়িতে জল থাকলে ফের তারা ওই স্কুলে উঠে আসতে পারেন। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে খাওয়া থাকার ব্যবস্থা করা হবে।