কলকাতা: প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। আর সেই ইঙ্গিত পেয়ে দলের দরজা খুলে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ!


মঙ্গলবার দিল্লিতে যখন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে বসছেন, সূত্রের খবর, তখন কলকাতায় দলের জেলা সভাপতিদের নিয়ে ডাকা বৈঠকে অধীর চৌধুরী বলেন, ৩১ মে’র মধ্যে সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি সম্পূর্ণ করুন। আমরা দিল্লিকে বলেছি তৃণমূলের সঙ্গে যেন জোট না করা হয়। কিন্তু, দিল্লি যদি আমাদের জিজ্ঞাসা করে যে আপনাদের পারফরম্যান্স কী, তখন তো মুখ পুড়বে। তাই আমাদের কাজ আমাদেরকে ঠিক করে করতে হবে। তারপরও যদি দিল্লি আমাদের মনোভাবকে গুরুত্ব না দিয়ে, তৃণমূলের সঙ্গে যায়, তাহলে আমাদের সামনেও রাস্তা খোলা থাকবে। বিজেপির দরজা খোলা আছে। তৃণমূলও খোলা আছে।

শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে সনিয়া ও রাহুল গাঁধীর সঙ্গে তৃণমূলনেত্রীর বৈঠক নিয়েও চড়া সুর শোনা যায় অধীরের গলায়! তিনি বলেছিলেন, রাজ্যে প্রতিদিন তৃণমূলের হাতে মার খাচ্ছে কংগ্রেস। এই অবস্থায় দিল্লিতে ঐক্যের ধ্বনি চলতে পারে না। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হতেই পারে। কিন্তু, কংগ্রেস কর্মীদের মনের কথাও মাথায় রাখতে হবে।

পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকেও চিঠি দেন অধীর! যার জেরে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা, তাহলে কি সনিয়া-মমতা কাছাকাছি আসার জেরে বিজেপিতে যেতে পারেন অধীর? সেই জল্পনা আরও উস্কে দিলেন দিলীপ ঘোষ। বললেন, অধীরের জন্য দরজা খোলা। উনি বড় নেতা। ওঁর হাত ধরেই মালদা-মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের সংগঠন টিকে রয়েছে। এ রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের বিরোধ নেই। জাতীয় স্তরে আদর্শগত বিরোধিতা রয়েছে। অনেকেই বিজেপিতে আসছেন, অধীরের জন্যও দরজা খোলা।

যদিও এনিয়ে খোলসা করে কিছু বলতে চাননি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।

অধীর-জল্পনা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না তৃণমূল নেতৃত্ব। পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছেন, দরজা কেন রাখছে, পুরোপুরি খুলে দিক। এটা আমাদের কাছে হাসির খবর।

সবমিলিয়ে অধীরের মন্তব্য, দিলীপের পাল্টা, তৃণমূলের কটাক্ষ.... রাজনৈতিক মহলে তুঙ্গে জল্পনা।