সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: পেশায় অটো চালক। উপার্জন যৎসামান্যই। তবে স্বপ্ন গরিব মানুষের সেবা। তাই অটোর স্টিয়ারিং সামলাতে পটু মঞ্জু দাস মন্ডল নেমে পড়েছেন নির্বাচনী যুদ্ধে। অটো চালানোর মাঝেই চলছে ভোটপ্রচারও চলছে এলাকার পরিচিত মুখ মনার।


এবারের হাইভোল্টেজে রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের হেভিওয়েট প্রার্থীদের সাথে নির্দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছেন রায়গঞ্জের মহিলা অটোরিকশা চালক মঞ্জু দাস মন্ডল। নিজের অটোরিকশতেই প্রচারের ব্যানার লাগিয়ে যাত্রী পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি প্রচারও করছেন মঞ্জু। অটোরিকশাতেই ওঠা যাত্রীদের কাছে করছেন ভোটের প্রচার আর বলছেন গরিব মানুষদের প্রতিনিধিত্ব করতেই বিধানসভায় যেতে চান তাই তাঁকে দূরবীন চিহ্নে ভোট দিতে প্রার্থনা করছেন রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী রবীন্দ্রপল্লীর বাসিন্দা মঞ্জু দাস মন্ডল ওরফে মনা।


দিনভর রায়গঞ্জ-কর্নজোড়া রুটে অটোরিকশা চালিয়ে উপার্জন করে সংসার প্রতিপালন। তাঁর স্লোগান গরীবের বন্ধু আমি গরীব মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করার লক্ষ্যেই বিধানসভায় প্রতিনিধিত্ব করতে চাই।


আগামী ২২ এপ্রিল রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট। তৃণমূল কংগ্রেস, সংযুক্ত মোর্চা তথা বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোটের এবং বিজেপি প্রার্থী ছাড়াও রয়েছেন অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও নির্দল প্রার্থী সহ ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দুবারের কংগ্রেস বিধায়ক সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী মোহিত সেনগুপ্ত যেমন আছেন তেমনই রয়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়াল। আবার রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী রায়গঞ্জের বিশিষ্ট শিল্পপতি কৃষ্ণ কল্যানী। 


এইসব হাই প্রোফাইল প্রার্থীদের ভিড়ে রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের ময়দানে আসীন হয়েছেন রায়গঞ্জ শহরের রবীন্দ্রপল্লীর বাসিন্দা পেশায় অটোরিকশা চালক মঞ্জু দাস মন্ডল। তাঁর কথায় দীর্ঘদিন ধরে রায়গঞ্জ বিধানসভায় বহু রাজনৈতিক দলের নেতা মন্ত্রীরা প্রতিনিধিত্ব করেছেন কিন্তু কোনও উন্নয়ন হয়নি রায়গঞ্জের বাসিন্দাদের। বিশেষ করে বঞ্চিত থেকে গিয়েছে বিধানসভা এলাকার দুঃস্থ-গরিব মানুষেরা। এইসব গরিব মানুষদের বন্ধু হয়েই বিধানসভায় প্রতিনিধিত্ব করতেই আমার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা।


পাশাপাশি রায়গঞ্জে উচ্চশিক্ষা এবং উন্নততর চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং রায়গঞ্জে একটি মহিলা কলেজ স্থাপন করাই হবে তাঁর বিধায়ক হিসেবে লক্ষ্য। তবে "খেলা হবে", " টুম্পা সোনা" আর "জয় হো" স্লোগানের বিপরীতে দাঁড়িয়ে কতটা ছাপ ফেলতে পারে এই "গরীবের বন্ধু" নির্দল প্রার্থী মঞ্জু দাস এখন সেটাই দেখার।