সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর : " ও বেইমান, দিদির সাথে গদ্দারি করেছে, ও যদি হেলিকপ্টারে না এসে চোপড়ায় বাই রোড আসতো তাহলে চোপড়ার মানুষ ওর ডেডবডিটা নন্দীগ্রামে পাঠিয়ে দিত " বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন চোপড়ার বিদায়ী বিধায়ক তথা এবারের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হামিদুল রহমান। বিতর্কিত এই মন্তব্য ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রাজনৈতিক মহলে। স্থানীয় বিজেপি নেতা সুরজিৎ মন্ডল পাল্টা জানিয়েছেন সবচেয়ে বড় মীরজাফর যে হামিদুল রহমান সেটা চোপড়ার মানুষ জানে।


রবিবার বিকেলে চোপড়ার দাসপাড়া ফুটবল গ্রাউন্ড ময়দানে বিজেপির নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী।  তাঁরা হেলিকপ্টারে মাঠে নেমেই জনসভায় যোগ দেন। দলীয় কর্মীদের দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর জনসভাস্থলের অদূরেই কালো পতাকা ও ঝাঁটা দেখিয়ে " শুভেন্দু গো ব্যাক " স্লোগান তুলে বিক্ষোভও দেখান এই তৃণমূল নেতা।


যা নিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি সুরজিৎ মন্ডল বলেন, আজকে যে চোপড়ায় শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশ্যে কালো পতাকা দেখিয়ে গো ব্যাক স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে তা চোপড়ার সাধারণ মানুষ করেনি, করেছে তৃণমূল নেতা হামিদুল রহমানের পোষা গুণ্ডারা।


হামিদুল রহমানের কথায়, চোপড়ার মা বোনেরা ঝাঁটা-লাঠি নিয়ে তাড়া করত বিজেপি নেতা শুভেন্দুকে,  কিন্তু শুভেন্দুর কপাল ভালো সেন্ট্রাল ফোর্সের ঘেরাটোপে থেকে হেলিকপ্টারে চেপে মাঠে নেমে জনসভা করে আবার হেলিকপ্টারে চেপে ফিরে চলে গিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী বেইমান। উনি যদি হেলিকপ্টারে না এসে বাইরোড আসতেন চোপড়ার মানুষ তাঁর ডেডবডি পাঠাতেন নন্দীগ্রামে। চোপড়ার মহিলারা তৈরিই ছিলেন লাঠি ঝাঁটা নিয়ে, এমনটাই মন্তব্য করেন এই তৃণমূল নেতা।


এব্যাপারে বিজেপির জেলা সহ সভাপতি সুরজিৎ মন্ডল জানিয়েছেন চোপড়ার সবচেয়ে বড় মীরজাফর হামিদুল রহমান নিজেই। হামিদুল নিজেই অনেক দল বদল করে আজকে তৃণমূলে এসেছে। 


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI