শ্যামপুর: বধূকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল হাওড়ার শ্যামপুরে। বাঁচাতে গেলে দাদা-বউদিকেও ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ। এরপর পুলিশ এলে তাদের সামনে মাথায় আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে অভিযুক্ত স্বামী।


কেন এই খুন? পরিবারের দাবি, মানসিকবিকারগ্রস্ত হওয়ায় খুন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান সন্দেহের বশেই স্ত্রীকে খুন করেছেন ওই ব্যক্তি। বুধবার ঘটনাকে কেন্দ্রে করে বুধবার হাওড়ার শ্যামপুর থানা এলাকার রতনপুরে চাঞ্চল্য ছড়ায়।


মৃতার নাম দীপা মণ্ডল। বয়স ৪০ বছর। পেশায় ফুচকা ব্যবসায়ী। পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় দীপার স্বামী নবকুমার মণ্ডল। প্রথমে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রীর মাথার পিছনে ধারাল অস্ত্রের আঘাত করেন তিনি। দীপার চিৎকার শুনে তাঁর ভাসুর ও জা ছুটে এলে তাঁদের উপরেও চড়াও হন নবকুমার। ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর শুরু করেন তিনি। কোনওক্রমে তাঁকে একটি ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে তালা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপরই খবর দেওয়া হয় থানায়। 


পুলিশ সূত্রে খবর, ঘরের তালা খুলে নবকুমারকে ধরতে গেলে তিনি ধারাল অস্ত্র দিয়ে নিজের মাথায় আঘাত করেন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উলুবেড়িয়ার হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। কিন্তু কেন স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন ওই ব্যক্তি?


পরিবারেরর দাবি, তিনি মানসিকবিকারগ্রস্ত ছিলেন। মানসিকরোগের চিকিৎসাও চলছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সন্দেহের বশে স্ত্রীকে খুন করেন ওই ব্যক্তি। তাঁর মানসিক রোগের চিকিৎসা চলছিল কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।