সুমন ঘড়াই, কলকাতা: করোনা বিধি মেনেই করতে হবে পুজো। বিধি-নিষেধ পালন হচ্ছে কি না, দেখার পাশাপাশি পুলিশ-প্রশাসনকে সচেতনতা মূলক প্রচার চালাতে হবে। দুর্গাপুজো নিয়ে বুধবার নবান্নের বৈঠকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মধ্যেই এসে পড়েছে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। এই পরিস্থিতিতে পুজো কীভাবে হবে, তা ঠিক করতে বুধবার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও কমিশনারদের নিয়ে নবান্ন থেকে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই যাবতীয় কোভিড বিধি মেনে পুজো করার নির্দেশ দেন তিনি। তবে এরইসঙ্গে বুঝিয়ে দেন, করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে এগোচ্ছে, তার ওপরই নির্ভর করছে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, পুজোর বিসর্জন শুরু হবে ১৫ অক্টোবর থেকে, চলবে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত। সেই নিয়ম মেনে ১৮ অক্টোবর পুজোর কার্নিভাল হওয়ার কথা। কিন্তু এ বিষয়েও এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের সদস্য শাশ্বত বসু বলেছিলেন, প্রশাসন যা যা ব্যবস্থা করেছে তাতে খুশি, যে পদ্ধতিতে পুজো করতে বলেছে সেটাই হবে, গতবার পুজো থেকে কোভিড ছড়ায়নি, এবারও সেটা বজায় থাকবে বলে মনে করছি।
বুধবারের বৈঠকে মুখ্যসচিব নির্দেশ দেন, তিন দিক খোলা মণ্ডপে করতে হবে। আগের বারের পুজোর গাইডলাইন বলবত্ থাকবে। মাস্ক পরা-সহ মানতে হবে কোভিড বিধি।
করোনা আবহেই দুর্গাপুজো হয়েছিল গত বছর। এবছর করোনা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে। ভ্যাকসিনেশন চলছে। এই পরিস্থিতিতে এবার পুজোয় লোক বেশি বের হবে ধরে নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি, পুজোয় মাস্ক পরা নিয়ে সচেতনতা প্রচারের নির্দেশও দেওয়া হয় পুলিশকে। করোনা বিধি মেনে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে ক্লাবগুলির সঙ্গে সমন্বয় করবে পুলিশ ও প্রশাসন।
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে গতবারের মতো এবারও, পুজো কমিটিরগুলির কাছ থেকে পুরসভা ও পঞ্চায়েত কোনও কর নেবে না। ফি নেবে না দমকলও। বিদ্যুৎ বিলে মিলবে ৫০ শতাংশ ছাড়।
আরও পড়ুন: দোরগোড়ায় দুর্গাপুজো, একাধিক বিধি-নিষেধ জারি ফোরাম ফর দুর্গোত্সবের