কলকাতা: আজ ষষ্ঠী। দেবীর বোধন। বোধনের পর দেবীর অধিবাস৷ বিল্ববৃক্ষের তলায় দেবীর আরাধনা৷ গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী, সরস্বতী-সপরিবারে একরাত সেখানেই থাকবেন মা দুর্গা৷ সপ্তমীর সকালে পা দেবেন বাপের বাড়িতে৷ শহরজুড়ে মহোত্সবের আবহ৷ উত্তর, দক্ষিণ, সব জায়গাতেই এক ছবি৷ ষষ্ঠীর সকাল থেকেই ঠাকুর দেখার ভিড়৷ নতুন জামাকাপড়৷ নতুন জুতো৷ হৈ-হুল্লোড়, খাওয়া-দাওয়া৷ উত্সবের আনন্দে ভাসছে শহর। থিম, সাবেকিয়ানা, নান্দনিকতায় মিলে-মিশে উদযাপনের রঙ৷ বাঙালির সেরা উত্সব।


মহা ষষ্ঠীতে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, মহা ষষ্ঠীর মহালগ্নে মায়ের বোধনে সবাইকে শুভেচ্ছা। দুর্গা পুজো ভালো কাটুক। নতুন জীবনে ফিরে নতুন পৃথিবী যাতে বানাতে পারে. সেই সংকল্প সকলের নেওয়া উচিত।


বিজেপির কালচারাল সেলের দুর্গা পুজোর উদ্বোধন কে করবেন ? আপনি যাচ্ছেন কি ? কেন্দ্রীয় নেতা কে কে আসছেন ? এই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, দলের রাজ্য সভাপতি রয়েছেন। তিনিই পুজো উদ্বোধন করবেন।


দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, তিনি মেদিনীপুরে থাকবেন। উল্লেখ্য, মেদিনীপুরের সাংসদ তিনি। 


দলের কালচারাল সেলের  পুজোয় কারা কারা আসছেন, তা তাঁর জানা নেই বলে জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। একইসঙ্গে জানিয়েছেন, শহরে রয়েছেন অমিত মালব্য। 


উল্লেখ্য, গতকাল কলকাতার অন্যতম বনেদি বাড়ির পুজো শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজোয় গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে ঘুরে দেখার ছবি কু অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, কলকাতার ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যপূর্ণ শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো পরিদর্শন করে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। 






পুজোর সময়েও ইকোপার্কে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি দিলীপ ঘোষ। দিনহাটার ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেছেন তিনি।  বলেছেন, সবই এন্টি সোশ্যাল নিয়ে ওখানকার রাজনীতি। বাংলাদেশ বর্ডার সংলগ্ন ওই এলাকায় সবসময় উত্তেজনা থাকে। আর এখন এসব করে ভয় দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে যাতে লোকে ভোট দিতে না আসে।


আগামী ৩০ তারিখ দিনহাটা বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন। 


উল্লেখ্য, এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে কোচবিহারের গীতালদহে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে দুই তৃণমূলকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগে উত্তপ্ত এলাকা। স্থানীয় সূত্রে খবর, শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এলাকা দখলের বিবাদকে কেন্দ্র করে পঞ্চমীর রাতে অশান্ত হয়ে ওঠে গীতালদহের মরাকুঠি এলাকা, চলে গুলি। হামলা চালিয়েছে দলেরই এক গোষ্ঠী, অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেতা ও জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ। পারিবারিক বিবাদের জেরে এই ঘটনা, অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন দিনহাটা ১এ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি। পুলিশ সুপার সুমিত কুমার জানিয়েছেন, ২ তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর পাশাপাশি আহত হয়েছেন ৫ জন।