রানা দাস, কেতুগ্রাম: ভাতারের পর কেতুগ্রাম। ফের পূর্ব বর্ধমানে বাড়িতে মজুত বোমা ফেটে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। কেতুগ্রামের সুজাপুরে উড়ে গেল বাড়ির কংক্রিটের ছাদ, পিলার। ভেঙে দুমড়ে মুচড়ে যায় লোহার গ্রিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, ভোর ৪টে নাগাদ বিস্ফোরণ হয়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক বাড়ি মালিক সাক্ষী ঘোষ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। বিজেপির অভিযোগ, বাড়ি মালিক এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। এলাকায় অশান্তি বাধাতেই বোমা মজুত করা হয়েছিল। যদিও অভিযুক্তের দলীয়-যোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
সাত সকালে তীব্র শব্দ। কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা! প্রাথমিকভাবে ভূমিকম্প বলে মনে করেছিলেন স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার, ভোরে এ’ভাবেই ঘুম ভাঙে কেতুগ্রামের সুজাপুরের বাসিন্দাদের। পরে, বোঝা যায় স্থানীয় একজনের বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, উড়ে গেছে ছাদের একাংশ। ভেঙে পড়েছে কংক্রিটের পিলার। দুমড়ে-মুচড়ে গেছে লোহার গ্রিল। ফাটল ধরেছে দেওয়ালে। কার্যত ধ্বংসস্তূপের চেহারা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ভোর ৪টে নাগাদ বিস্ফোরণ হয়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক বাড়ির মালিক সাক্ষী ঘোষ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কেতুগ্রামের বাসিন্দা নেপাল ঘোষ বলেন, যার বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে, তাঁর ভাইপো তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। ভোর বেলায় প্রচন্ড জোরে আওয়াজ হয়, তখন জানতে পারি বিস্ফোরণ হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, বাড়ি মালিক এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। অশান্তি করতেই বোমা মজুত করা হয়েছিল।
কেতুগ্রাম বিজেপি নেতা অনাদি ঘোষের দাবি, যার বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে সে তৃণমূল করে। বাড়িতে বোমা মজুত করে রেখেছিল, সেটা থেকেই বিস্ফোরণ। কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ বলেন, একটা বিস্ফোরণ হয়েছে, যার বাড়িতে হয়েছে, সে কি ধরনের নেতা জানি না। তবে, সমর্থক হতে পারে, বা নাও হতে পারে। পুলিশ গেছে, যে দোষী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কী ধরনের বিস্ফোরক, তা জানার জন্য ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের ডাকা হয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, মজুত বোমা থেকেই বিস্ফোরণ। বাড়ির মালিক ও পরিবারের সদস্যদের খোঁজ চলছে।