কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: দামোদরের জলে ভেসে এসেছিল যুবকের মৃতদেহ। তা দেখে ভিড় জমে যায় বর্ধমানের সদরঘাটে দামোদরের তীরে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করতে পৌঁছে যায় বর্ধমান থানার পুলিশও।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্য নিয়ে দেহ তুলতে যান পুলিশকর্মীরা। আর পুলিশ জল থেকে মৃতদেহ তোলার জন্য হাত ধরতেই, জলেই বসে পড়ল 'মৃতদেহ'! এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকলেন সদরঘাটে উপস্থিত বাসিন্দারা।
শনিবার বিকেলে দামোদরের তীরে বেড়াতে যাওয়া বাসিন্দাদের কয়েকজন লক্ষ্য করেন তীরের কাছে ভেসে রয়েছে যুবকের দেহ।
নড়াচড়া নেই। চোখ বোজা। পরনে পোশাকটুকুও নেই। তাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে এলাকায় ভিড় জমে যায়। অনেকেই মৃতদেহ ভেবে হাত না দিয়ে বর্ধমান থানায় খবর দেয়।
হন্তদন্ত হয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বর্ধমান থানার পুলিশ। স্থানীয় যুবকদের সাহায্য নিয়ে মৃতদেহ উদ্ধারে সচেষ্ট হয় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতিতে কয়েকজন ওই যুবকের দেহ টেনে পাড়ে তোলার চেষ্টা করেন।
এরপর রীতিমতো আঁতকে ওঠার মতো অবস্থা হয় পুলিশ সহ উপস্থিত সকলের। সোজা হয়ে বসে পড়ে 'মৃতদেহ'। এরপরই পুলিশ দেখে জলের দিকে পালানোর চেষ্টা করে ওই যুবক। উপস্থিত পুলিশকর্মীরা দু'চার ঘা দিয়ে চলে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অন্তত দেড় ঘণ্টা দামোদরের জলে স্থির হয়ে পড়ে ছিল ওই যুবক। নিঃশ্বাস নিচ্ছে কি না তাও বোঝা যাচ্ছিল না। অনেকেই পার থেকে দীর্ঘক্ষণ ধরে ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া পাননি।
এদিকে, করোনা আবহে গঙ্গায় ভেসে আসা মৃতদেহ ঘিরে আতঙ্ক মালদায়। স্থানীয়দের আশঙ্কা, মৃতদেহগুলি করোনা আক্রান্তের। ভিনরাজ্য থেকে দু’জনের মৃতদেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ-প্রশাসন।
ভূতনির কেশরতোলা ঘাটে অজ্ঞাতপরিচয় দু’জনের দেহ ভাসতে দেখেন গ্রামবাসীরা। বিহার, ঝাড়খণ্ড ও বাংলার সীমানাবর্তী এলাকা ভূতনি। সম্প্রতি, বিহার থেকে উত্তরপ্রদেশ -- গঙ্গার পাড় ধরে সার দিয়ে কোভিডে মৃতদের পচাগলা দেহ পড়ে থাকার ঘটনা সামনে আসে।
তারপরই ভূতনিতে গঙ্গা থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। স্থানীয়দের আশঙ্কা, মৃতদেহগুলি করোনা আক্রান্তের। ভিনরাজ্য থেকে মৃতদেহদুটি গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে।