রাণা দাস, মঙ্গলকোট: গভীর রাতে ফিল্মি কায়দায় গ্রেফতার। মঙ্গলকোটে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় সিআইডি-র জালে ধরা পড়ল আরেক অভিযুক্ত। সিআইডি সূত্রে খবর, ধৃতের বিরুদ্ধে পুলিশের খাতায় আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে। 


পালাতে গিয়ে এক বাড়ির ছাদ থেকে আরেক বাড়ির ছাদে লাফ। তারপর কচুরিপানা ভর্তি পুকুরে ঝাঁপ। একেবারে যেন সিনেমা। তাতেও শেষ রক্ষা হল না। সিআইডি-র জালে ধরা পড়ে গেল মঙ্গলকোটে তৃণমূল নেতা খুনে আরেক অভিযুক্ত রফিক শেখ। 


গত ১২ জুলাই, মঙ্গলকোটের লাকুড়িয়ার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অসীম দাসকে রাস্তায় গুলি করে খুন করা হয়। কাশেমনগর থেকে বাড়ি ফেরার সময় সিউর মোড়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন অসীম দাস।  


১৪ তারিখ অসীম খুনের অভিযোগে  সাবুল সেখ ও সামু সেখকে গ্রেফতার করে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। ১৬ জুলাই খুনের ঘটনার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিআইডি-র হাতে। 


সিআইডি সূত্রে খবর, ধৃত ২ জনকে জেরা করে রফিক শেখের নাম উঠে আসে। সিআইডি তদন্তে নেমে মঙ্গলকোটের কোটাল ঘোষ গ্রামের বাসিন্দা রফিক সেখকে গ্রেফতার করল।


বুধবার আউশগ্রামের ভেদিয়া গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন রফিক। সেখানেই গভীর রাতে হানা দেয় সিআইডি-র টিম। সঙ্গে ছিল গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশও। 


সূত্রের দাবি, টের পেতেই পালানোর চেষ্টা করেন রফিক। বাড়ির ছাদে উঠে আরেক বাড়ির ছাদে লাফ দেন তিনি। এরপর কচুরিপানা ভর্তি একটি পুকুরে ঝাঁপ দেন। 


যদিও তাতেও কোনও লাভ হয়নি। সূত্রের দাবি, অভিযুক্তকে ধরতে অন্ধকারের মধ্যে পুকুরে নামেন সিআইডি অফিসাররাও। পুকুরের জল থেকে রফিক সেখকে তুলে আনেন সিআইডি আধিকারিকরা।  


সিআইডি সূত্রে দাবি, রফিকের নামে আগেও থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ধৃতকে জেরা করে খুনের কিনারা করা যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। 


তৃণমূল নেতা অসীম দাস খুনে এই নিয়ে মোট তিনজন গ্রেফতার হল। এর আগে মঙ্গলকোট থানা এবং সিটের যৌথ অভিযানে   সাবুল সেখ ও সামু সেখ গ্রেফতার হয়েছিল।