ঋত্বিক প্রধান, দিঘা: দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুর, তাজপুরে ফের খুলে গেল হোটেল। প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পরই, আজ থেকে হোটেল খোলার সিদ্ধান্ত নেয় হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন।


বন্ধ হয়েছিল বৃহস্পতিবার। অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে কাটল জট। ২ দিন পর শনিবার দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুর ও তাজপুরে ফের খুলে গেল হোটেলের দরজা। করোনা সংক্রমণ রুখতে প্রশাসনের তরফে কড়া বিধিনিষেধ জারির পর থেকেই কার্যত পর্যটক শূন্য সৈকত শহর। যার জেরে গত বৃহস্পতিবার হোটেল বন্ধ করে দেয় দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। এরপর অচলাবস্থা কাটাতে শুক্রবার হোটেল মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক। আর এতেই বেরোয় রফাসূত্র।


দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুশান্ত পাত্র বলেন, যাঁরা করোনা টেস্ট না করিয়ে দিঘায় আসছেন তাঁদের জন্য প্রতিটি হোটেলে কিট থাকবে যা দিয়ে টেস্ট করানো যাবে। কেউ পজিটিভ হলে তাঁকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। করোনা আবহে ডবল ডোজ সার্টিফিকেট অথবা  আরটিপিসিআর  টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট থাকা বাধ্যতামূলক। গত ১২ জুলাই এই নির্দেশিকা জারি করেছে কাঁথি মহকুমা প্রশাসন। এই অবস্থায় পর্যটকদের ফের সৈকতমুখী করতে নিজেদের উদ্যোগেই করোনা টেস্টে উদ্যোগী হলেন হোটেল মালিকরা। তাঁদের এই ভূমিকায় খুশি প্রশাসন।


দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান তরুণ জানার বক্তব্য, জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনার পরেই হোটেল বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে হোটেল মালিকরা সরে এসেছেন, সেক্ষেত্রে দিঘার বুকে পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে। এদিকে, হোটেল মালিকদের দাবি মতো সব হোটেল কর্মীকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি বলেন,  প্রায় সাড়ে তিন হাজার হোটেলকর্মী রয়েছেন যাঁদের এখন ভ্যাকসিনেশন করা সম্ভব হয়নি, আমরা দায়িত্ব নিয়েছি স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা বলে এই সমস্ত হোটেল কর্মীদের খুব তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এদিকে, পর্যটকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে লাগাতার প্রচার চালান হবে বলে জানিয়েছে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ।